অসুস্থ/পীড়িত ব্যাক্তির রোজা রাখার নিয়ম কি ?

অসুস্থ/পীড়িত ব্যাক্তির রোজা রাখার নিয়ম কি ?

অসুস্থ/পীড়িত ব্যাক্তির রোজা নিয়ে 

আল্লাহ তায়ালা কুরআন পাকের বলেন-

‎‫فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَر‬‎

অর্থাৎ তোমাদের মধ্যে যারা অসুস্থ বা সফর রত হয়ে রোজা না রাখতে পারবে তারা অন্য দিনে সেই রোজা গুলি পূর্ণ করবে। অর্থাৎ অসুবিধার কারণে রমজান মাসে যদি কেউ রোজা রাখতে না পারে তাহলে পরে ঐ রোজা গুলি কাজা করে দেবে।

Table of Contents

অসুস্থ/পীড়িত ব্যাক্তির রোজা ভঙ্গ করার কারন ,০১ 

১। গর্ভ অবস্থায়

মাসয়ালা :- গর্ভবতী নারী যদি রোজা রাখলে তার অথবা বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হয় তাহলে রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ হবে। তার ধারণা সঠিক না হলেও তার উপর কেবল কাজা জরুরী কাফফারা নয়।

 

অসুস্থ/পীড়িত ব্যাক্তির রোজা ভঙ্গ করার কারন ০২

২। ধাত্রী অবস্থায়-

মাসয়ালা: যদি কোন নারীর উপর নিজের অথবা অপরের বাচ্চার দুধ পান করানোর দায়ীত্ব থাকে, বাচ্চার ক্ষতির আশঙ্কা হলে রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ।

মাসয়ালা :- যদি দুধ ফ্রী পান করায় এবং অন্য ধাত্রী পাওয়া যায় এবং বাচ্চা তার দুধ গ্রহণ করে তাহলে রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ নয়।

মাসয়ালা:- রমজান মাসের রোজার নিয়াত করার পর যদি কোন নারী দুধ পান করাবার চাকুরী নেয়, তার জন্য রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ।

 

অসুস্থ/পীড়িত ব্যাক্তির রোজা ভঙ্গ করার কারন০৩

৩। অসুস্থ অবস্থায়-

মাসয়ালা:- যদি রোজা রাখার কারণে নুতন কোন অসুখ বা বর্তমান অসুখ আরো বৃদ্ধি পায় বা রোজা রাখলে সুস্থাতায় বিলম্ব হওয়ার প্রবল ধারনা হয় তাহলে রোজা না রাখা জায়েজ। তবে খেয়াল রাখতে হবে কেবল সন্দেহ বা সাধারন কারণে ফরজ রোজা ছাড়া জায়েজ হবে না।

মাসয়ালা :- রোজার নিয়াত করার পর যদি কোন অসুখ দেখা দেয় যেমন নিয়াত করার পর সাপ অথবা বিছা কামড়ে নিল বা খুব জ্বর আসল বা প্রচণ্ড মাথার যন্ত্রনা শুরু হল তাহলে তার জন্য উক্ত দিনের রোজা রাখা জরুরী নয়।

মাসয়ালা :- যদি কেউ নিজে ইচ্ছাকৃত কোন ঔষধ ব্যবহার করার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে রোজা ভঙ্গ করা দুরুস্ত নয়।

অসুস্থ/পীড়িত ব্যাক্তির রোজা ভঙ্গ করার কারন০৪

৪। বাধ্যকরা – 

অর্থাৎ কাউকে রোজা না রাখতে বাধ্য করা। তাকে জীবন নাশ, অঙ্গ হানী বা কঠিন প্রহরের ভয় দেখানো।

মাসয়ালা :- যদি কাউকে রোজা রাখলে জীবন নাশ বা অঙ্গহানী বা কঠিন প্রহরের ভয় দেখানো হয় তাহলে তার জন্য রোজা না রাখা জায়েজ। কিন্তু যদি হালকা ধরনের শাস্তির ভয় দেখানো হয় যেমন জেলে বন্ধি করে দেওয়া বা দু চারটি থাপপড় মারা বা মদ পান করিয়ে দেওয়া বা শুকরের মাংস খাইয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। তাহলে রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ নয়।

 

 

অসুস্থ/পীড়িত ব্যাক্তির রোজা ভঙ্গ করার কারন ০৫

৫। জেহাদ অবস্থায়-

মাসয়ালা :- যদি কেউ জানতে পারে যে রমজান শরীফে কোন আল্লাহর দুশমনদের সাথে যুদ্ধ করতে হবে এবং রোজা রাখলে শরীরে শিথিলতা বা দুর্বলতা দেখা দেবে তাহলে রোজা না রাখা জায়েজ হবে। যদি নিয়াত করার পর এমন পরিস্থিতির সম্মুখিন হয় তাহলে উক্ত রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ এতে কাজা ওয়াজিব হবে, কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে না।

 

অসুস্থ/পীড়িত ব্যাক্তির রোজা ভঙ্গ করার কারন

৬। ক্ষুধা অবস্থায় –

মাসয়ালা:- রোজা রাখলে ক্ষুধার কারণে জীবন যাওয়ার আশঙ্কা হয় বা বিবেক হীন হওয়ার আশঙ্কা হয় তাহলে রোজা না রাখা জায়েজ।

মাসয়ালা:- যদি নিয়াত করার পর এমন পরিস্থিতি হয় তাহলে রোজা ভঙ্গ করতে পারে এতে কেবল কাজা করতে হবে।

অসুস্থ/পীড়িত ব্যাক্তির রোজা রাখার নিয়ম কি ?

অসুস্থ/পীড়িত ব্যাক্তির রোজা ভঙ্গ করার কারন

৭। পিপাসা অবস্থায় –

মাসয়ালা :- পিপাসার কারণে যদি জীবন নাশ বা বুদ্ধি বিবেক হীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ।

৮। অচৈতন্য অবস্থায় –

মাসয়ালা :- অচৈতন্য বা বেহুশ ব্যক্তির জন্য ও রোজা না রাখা বা ভঙ্গ করা জায়েজ। যদিও উক্ত বেহুশী পূর্ণ রমজান মাস ব্যাপি থাকে।

মাসয়ালা :- যে দিন সে বেহুশ হয়েছে ঐ দিনটি বাদ দিয়ে বাকী দিন গুলি কাজা করা জরুরী। কারণ যে দিন সে বেহুশ হয়েছে রাতে নিশ্চই নিয়াত করেছিল আর বেহুশ হওয়ার পর তার দ্বারা রোজা ভঙ্গকারী কোন কাজ হয়নি। তাই ঐ দিনের রোজা হয়ে যাবে।

৯। পাগল অবস্থায় –

মাসয়ালা :- পাগল অবস্থায় রোজা না রাখা জায়েজ। পাগল অবস্থার কাজা রোজা সুস্থ হলে আদায় করতে হবে না।

১০। সফর অবস্থায় –

মাসয়ালা :- সফর অর্থ ভ্রমন। অর্থাৎ শরীয়তের দৃষ্টিতে গ্রহনযোগ্য সফর। যা কম পক্ষে তিন মঞ্জিল অর্থাৎ তিন দিনের পথ হওয়া আবশ্যক। যদি এমন সফর হয় তাহলে চার রাকাত ফরজ নামাজ কসর করে ২ রাকাত পড়তে হয় এবং তার জন্য রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ।

(বিঃ দ্রঃ- শরয়ী সফর মাইল হিসাবে কেউ বলেছেন ৪৮ মাইল, কেউ

বলেছেন ৫৪ মাইল)

মাসয়ালা:- সফর যদি কোন নেক কাজের হয় বা খারাপ কাজের জন্য হয় অথবা মুবাহ কাজের জন্য হয় সর্বাবস্থাতে রোজা ভঙ্গ করতে পারবে।

মাসয়ালা :- সফর যদি কষ্ট কর হয় যেমন পায়ে হেঁটে সফর বা সাইকেলে সফর অথবা বিনা কষ্টের হয় যেমন রেল অথবা বিমানে সফর উভয় অবস্থাতে রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ।

মাসয়ালা:- যদি কোন মুকিম ব্যক্তি রোজার নিয়াত করার পর সফর শুরু করে তাহলে উক্ত রোজা পূর্ণ করা জরুরী। তবে যদি ভঙ্গ করে দেয় তাহলে কাজা জরুরী হবে কাফফারা হবে না। )در مختار (ص‎

মাসয়ালা :- যদি কোন মুসাফির অর্দ্ধ দিবসের পূর্বে মুকিম হয়ে যায় এবং রোজা নষ্টকারী কোন কাজও সে না করে তাহলে উক্ত রোজা পূর্ণ করা জরুরী কিন্তু যদি ভঙ্গ করে দেয় তাহলে কেবল কাজা জরুরী কাফ্ফারা জরুরী নয়। (বাহরুরাইক ২/২৮৩)

মাসয়ালা :- যদি মুসাফির কোন স্থানে কিছু দিন অবস্থান করার এরাদা করে তাহলে উক্ত দিন গুলি রোজা না রাখা মাকরূহ। )در مختار صل(‎

মাসয়ালা :- যদি কোন মুকিম রোজার নিয়াত করার পর মুসাফির হয়ে যায়, অতঃপর কিছু দুর গিয়ে কোন বস্তু ভুলে যাওয়ার কারণে তা নিতে বাড়ী ফিরে এসে রোজা ভঙ্গ করে দেয় তাহলে কাজা কাফফারা উভয় জরুরী হবে। (দুর্কে মুখতার ২/১২৩)

About us

১১। বার্দ্ধক্য অবস্থায় –

মাসয়ালা :- বার্দ্ধক্য, অর্থাৎ কেউ যদি বয়স বেশি হওয়ায় এমন দুর্বলতায় পৌঁছায় যে, দিনের পর দিন তার দুর্বলতা বেড়ে মৃত্যুর দিকে অগ্রসর হচ্ছে তাহলে তার জন্য রোজা না রাখা জায়েজ। (রঃ মুহতার ২/১১৯-

মাসয়ালা :- যদি কোন ব্যক্তি পূর্ববর্ণিত বার্দ্ধক্য পৌঁছায় তার জন্য রোজা না রাখা জায়েজ এবং প্রত্যেক রোজার পরিবর্তে মিসকিন কে ফিদিয়া দিতে হবে।

ফিদিয়া:- এক জন মিসকিন কে দুবেলা পেট ভরে খাওয়াতে হবে বা একটা ফিত্রা পরিমান প্রত্যেক রোজার পরিবর্তে মিসকিন কে দিতে হবে।

মাসয়ালা :- বৃদ্ধ ব্যক্তি ধনী হলে ফিদিয়া দেওয়া ওয়াজিব। কিন্তু যদি

গরীব হন তাহলে রোজা না রাখতে পারার জন্য আল্লাহর কাছে এস্তে গফ্ফার করবেন। (দুরে মুখতার ২/১১৯)

মাসয়ালা :- উক্ত ফিদিয়া প্রত্যেক রোজার জন্য আলাদা আলাদা মিসকিন কে দেওয়া জরুরী নয়। একই মিসকিন কে দিলে যথেষ্ট হবে। (দুরে মুখতার)

মাসয়ালা :- বৃদ্ধ ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত গরমের কারণে রোজা না রাখতে পারেন তাহলে ফিদিয়া যথেষ্ট হবে না বরং ঐ সময় রোজা ভঙ্গ করে শীত কালে রোজা কাজা করে দিবেন। (দুরে মুখতার)

মাসয়ালা :- যদি অসুখ এমন হয় যে, তার সুস্থ হওয়ার আর আশা করা যায় না তাহলে ঐ ব্যক্তি বর্ণিত বৃদ্ধের ন্যায় মনে করতে হবে। তার জন্য ফিদিয়া দেওয়া জায়েজ। (রদ্দুল মুহতার ২/১১৯)

‎‫الْمَرِيضُ إِذَا تَحَقَّقَ الْيَأْسُ مِنَ الصَّحَّةِ فَعَلَيْهِ الْفِدْيَةُ لِكُلِّ يَوْمٍ مِّنَ‬‎ ‎‫الْمَرَضِ (الدر المختار)‬‎

মাসয়ালা:- রোজা অবস্থায় দাঁত তোলা যদি একান্ত প্রয়োজন হয় তাহলে জায়েজ হবে। বিনা প্রয়োজনে মাকরূহ হবে। যদি রক্ত পুঁজ পেটে চলে যায় এবং রক্ত বা পুঁজের পরিমান থুথুর থেকে বেশী হয় বা যদি সমান হয় অথবা তার স্বাদ যদি পাওয়া যায় তাহলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। (দুরে মুখতার) কিতাবে আছে –

‎‫أَوْ خَرَجَ الدَّمُ مِنْ بَيْنِ أَسْنَانِهِ وَ دَخَلَ حَلَقَهُ يَعْنِي وَلَمْ يَصِلُ إِلَى جَوْفِهِ أَمَّا‬‎ ‎‫إِذَا جَوْفِهِ أَمَّا إِذَا جَوْفِهِ أَمَّا إِذَا جَوْفِهِ أَمَّا إِذَا جَوْفِهِ سَاوَيَا فَسَدَ وَ إِلَّا لَا إِلَّا إِذَا‬‎

অসুস্থ/পীড়িত ব্যাক্তির রোজা রাখার নিয়ম

‎‫وَجَدَ طَعْمَه (در مختار صيد)‬‎

অর্থাৎ যদি দাঁত হতে রক্ত বার হয় এবং হালাক পর্যন্ত চলে যায় পেটে না পৌঁছায় তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে না। যদি পেটে চলে যায় এবং রক্ত থুথুর পরিমান হতে বেশী বা সমান হয় তাহলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। অন্যথায় ভঙ্গ হবে না। কিন্তু যদি তার স্বাদ পাওয়া যায় তাহলে ভঙ্গ হয়ে যাবে।

মাসয়ালা :- রোজা অবস্থায় মাজন অথবা টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজলে রোজা মাকরূহ হবে। কিন্তু যদি কোন বস্তু হালাক থেকে নীচে প্রবেশ করে তাহলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।

মাসয়ালা :- চোখে ঔষধ দিলে রোজা ভঙ্গ হয় না। যদিও তার স্বাদ গলায় অনুভূত হয়। কারণ যদি সুরমা লাগায় এবং তার স্বাদ যদি গলায় এসে যায় তাও রোজা ভঙ্গ হয় না।

‎‫وَان وَجَدَ طَعَمَهُ فِي حَلَقِهِ أَى طَعْمَ الْكُحَلِ أَوْ الدُّهْنِ كَمَا‬‎ ‎‫فِي السَّرَاجِ وَ كَذَا لَوْ بَزَقَ فَوَجَدَ لَوْ بَزَقَ فَوَجَدَ لَهُ الْحَلْهُ فِي‬‎ ‎‫النَّهْرِ لأنَّ المَوْجُودَ فِي حَلَقِهِ أَثَرٌ دَاخِلٌ مِنَ الْمَسَامِ الَّذِي هُوَ خَلَلُ‬‎ ‎‫البَدَنِ وَ الْمُفْطِرِ إِنَّلَمَ الْدِمِنِ الْمُفْطِرِ حتار ص)‬‎

অর্থাৎ যদি সুরমা অথবা তেলের স্বাদ গলায় পৌঁছে যায় অথবা থুথুতে তার রং দেখা গেলে সঠিক মতানুসারে রোজা ভঙ্গ হবে না। কারণ হালাকে যে স্বাদ আছে তা এমন একটা আছর (চিহ্ন) যা শরীরের লোমকুপ দিয়ে প্রবেশ করেছে যে গুলো শরীরের ছিদ্র মাত্র। আর রোজা ভঙ্গ ঐ বস্তু দ্বারা হয় যা সরাসরি পেটে যাওয়ার রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে। রোজা ভঙ্গ কারী হওয়ার জন্য সরাসরি পেটে যাওয়া রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করা জরুরি। চোখে ঔষধ লাগালে ঔষধ সরাসরি পেটে যায় না তাই রোজা ভঙ্গ হবে না।

মাসয়ালা:- যদি কোন রোজাদার নদী অথবা পুকুরে গোসল করতে নেমে পানির মধ্যে বায়ু নির্গত করে তাহলে রোজা মাকরূহ হবে।

‎‫وَلَوْ فَسَا الصَّائِمُ أَوْ ضَرَطَ فِي الْمَاءِ لا يَفْسُدُ الصَّوْمُ وَيَكْرَهُ لَهُ ذَالِكَ‬‎ ‎‫هَكَذَا صِيَا فِي عالم مِعْرَاجِ الدِّرَايِي (الدِّرَةِ)‬‎

অর্থাৎ কোন রোজাদার পানিতে জোরে অথবা আস্তে বায়ু নির্গত করলে রোজা ভঙ্গ হবে না। তবে তার এমন করা মাকরূহ হবে।

মাসয়ালা :- রোজা অবস্থায় পানিতে ডুব দিলে রোজা ভঙ্গ হয় না।

মাসয়ালা:- রোজা অবস্থায় তামাক শুকলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়। যেহেতু

শুকনো তামাকের গুড়ো নিশ্বাসের সাথে হালাক এবং মস্তকে চলে যায়।

মাসয়ালা :- যদি কেউ সেহরী খাওয়ার পর পান খায়। তার পর মুখ ধুয়ে ফেলে কিন্তু সকালে যখন থুথু ফেলে তাতে পানের লাল রঙ দেখা যায় যদি ঐ থুথু গিলে ফেলে তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে না বটে তবে ভালো করে মুখ ধুয়ে নেওয়া জরুরী, যেন কোন প্রকার রঙ মুখে না থাকে।

নোট:- যদিও মাসয়ালা অনুযায়ী তার রোজা ভঙ্গ হচ্ছে না তবুও তার উচিৎ সাবধানতার জন্য যেন উক্ত রোজাটি কাজা করে নেয়।

মাসয়ালা :- দুরে মুখতার ও শামী কিতাবে আছে, রোজা স্মরণ থাকা অবস্থায় রোজাদার যদি ইচ্ছাকৃত হালাকে ধোঁওয়া প্রবেশ করায় তাহলে তার রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।

মাসয়ালা :- কেবল জুময়ার দিন রোজা রাখা মাকরূহ কিন্তু যদি বৃহস্পতি বার বা শনিবার ঐ সাথে যুক্ত করে রোজা রাখা হয় তাহলে মাকরূহ হবে না।

‎‫لا يَصُومُ أَحَدُ كُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِلا أَن يَصُومَ قَبْلَهُ أَوْ يَصُومَ بَعْدَهُ‬‎

‎‫(متفق عليه، مشكوة، باب صيام التطوع، فصل صلا)‬‎

মাসয়ালা :- যদি রোজা অবস্থায় কেউ মুখে খৈনী বা তামাকজাত দ্রব্য রাখে তাহলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।

মাসয়ালা :- ঘুম না ভাঙ্গায় সেহরী খাওয়া হয়নি তাই দুপুর পর্যন্ত দুমনা হয়েছিল তারপর রোজা ভেঙ্গে দিল। তাকে কেবল কাজা করতে হবে। কাফফারা দিতে হবে না।

মাসয়ালা :- যদি কেউ কয়েকটি কারনে রোজা রাখতে না পারলে কাজা কাফফারা ২ তাই ওয়াজিব হবে, তাহলে একটা কাফ্ফারা আদায় করলে যথেষ্ট হয়ে যাবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top