কতগুলি নাজায়েজ কার্য্য মাসায়েল সমূহ
সমস্ত প্রচলিত মাসায়েল কতগুলি নাজায়েজ কার্য্য সমূহ মুজাদ্দেদে জামান ফুরফুরা শরীফের পীর সাহেব কেবলা (রঃ) ও তাঁর আওলাদ পীর সাহেব কেবলাগণ (রঃ), মুক্তীয়ে আজম আল্লামা মেজলা হুজুর পীর কেবলা (রঃ), বাংলাদেশের বিখ্যাত পীর মৌলানা নিসারুদ্দীন আহমাদ সাহেব (রঃ) এবং আল্লামায়ে হিন্দ মৌলানা রুহুল আমীন (রঃ) সাহেবগণ জায়েজ বলতেন।
ইসলামিক বিষয়বস্তুতে একটি নজরানা
- মহরম মাসে পান না খাওয়া,
- তাজিয়া, ঝাণ্ডা ইত্যাদি বার করা,
- লাল রংয়ের কাপড় পরা কবরের উপর ফুল শিরনী ছড়ান,
- বিনা জরুরতে কবরে বাতি জ্বালান,
- আতস বাজী করা, কেউ মারা গেলে উচ্চঃস্বরে কাঁদা বা বুক চাপড়ান,
- কোন মেলায় যাওয়া,
- স্ত্রীলোককে পুরুষের কোন পোষক পরিধান করা,
- ছেলেদিগকে ঘুম পাড়াবার জন্য আফিং সেবন করান,
- খুব পাতলা কাপড় পরিধান করা,
- মা বাপকে কষ্ট দেওয়া,
- নাবালেগ, এতিমের মাল খাওয়া,
- মেয়েছেলেকে ওয়ারেস হতে বঞ্চিত করা,
- কাউকে জেনার তোহমত দেওয়া, জুলুম করা,
- অনুপস্থিতিতে কারো নিন্দা করা,
- খোদার কোন ফরজ ত্যাগ করা,
- কিয়ামত কে অসিকার করলে কাফের হবে।
- কুরআন শরীফ ইয়াদ করে ভুলে যাওয়া,
- মিথ্যা কথা বলা,
- খোদা ছাড়া অন্য কারো কসম খাওয়া,
- খোদা ব্যতীত অন্য কারো সাজদা করা,
- চুরি করা, কবর চুম্বন করা,
- সুদ, ঘুষ খাওয়া বা দেওয়া,
- জুয়া খেলা,
- মুশরিকদিগের চাল-চলন রীতি-নীতি পছন্দ করা,
- বিনা ওজরে নামাজ কাজা করা,
- বদ ফালি বা কুধারণা করা,
- কারো বদনাম শুনা, গান বাজনা শুনা, নাচ দেখা, থিয়েটার, টকী, বায়স্কোপ দেখা,
- কাউকে হাসি ঠাট্টা করে বেইজ্জতী করা,
- ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও উক্ত বদ কাজ হতে নিষেধ না করা,
- কোন লোকের দোষ ত্রুটির সন্ধানে থাকা।
- পীর মোর্শেদের কবর আস্তানাকে তাজ্বীমের সেজদা করা হারাম,
- কবর আস্তানা, চৌকাঠ সিড়ি প্রভৃতিকে চুম্বন করা এবং তার ধূলো বালি নিয়ে চেহারা ও গায়ে মাখা হারাম,
- কবর ও আস্তানায় ধূম ধামের সহিত মেলা করতঃ মেয়েলোকদের তথায় যাওয়া, কবরের চতুৰ্দ্দিকে ঘুরে তওয়াফ করা,
- কবরকে সামনে রেখে নামাজ পড়া, বেপর্দার সাথে মেয়েলোকদিগকে মুরিদ করা,
- স্ত্রীলোকের পীরকে দেখা দেওয়া ও সম্মুখে যাওয়া,
- গানের সুরে গজল পাঠ করা, লাফা-লাফি, নাচা-নাচি করে জিকির করা,
- সালামের পবিবর্তে আদাব, বন্দেগী প্রভৃতি বলা, হজরত ইমাম হাসান
- হুসাইনের (রাঃ) দরগাহ তৈরী করা, মহরমের দিন বা মহরমের প্রথম ১০ দিন লাঠি খেলা,
- মহরমের ১০ দিন তিল ও চাউল খাওয়া, কবর আস্তানার পূজা করা বা শরিয়তের হুকুম আহকামকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা কুফরী।
- মনে মনে রোজা রাখা, কোন হলাল ব্যবসাকে ঘৃণা করা গুনাহে কবীরা।
- নামাজ রোজা ত্যাগ করা, ফকিরী বিদ্যা কেবল সিনায় আসার দাবী করা।
- পীরের দামান ধরিলে চাক্ষুস ভাবে খোদাকে দেখা,
- কোন আমল ও হামজাদের দ্বারা গায়েবের কথা বলা,
- সৈয়দ ব্যতীত অন্য কেউ পীর হতে পারে না এরূপ বিশ্বাস করা,
- মিথ্যা সৈয়দ দাবী করা,
- পীরের ছবি বা যে কোন প্রকারের ছবি রাখা,
- পীরের ছেলে পীর হওয়া যদিও সে মূর্খও বেহেদায়েত হয়,
- পীর-মুরীদের সর্ব্ববিষয় জ্ঞাত আছে বলে ধারণা করা,
- উচ্চঃস্বরে জিকির করা, যাতে নামাজীর নামাজ অথবা নিদ্রিত ব্যক্তির নিদ্রায় ব্যাঘাত হয়,
- শাহ মাদারের কোরা তোলা হারাম,
- মহরমের বা অন্য দিন নিরামিষ খেয়ে রোজা রাখা,
- পীরের নামে মান্নত করা,
- হজরত আদম (আঃ) কে আল্লাহ আপন সুরাতে পয়দা করার আকীদা রাখা,
- মুর্দার জন্য সিন্দুক তৈরী করা এবং তার উপর কালি দিয়ে কিছু লেখা,
- কোন অলীর রওজা ধোয়া পানি তাবারুক হিসাবে ব্যবহার করা,
- পীরকে খোদা ও রসুলের (সঃ) ন্যায় তাজীম করা,
- হজরত (সঃ) কে আল্লাহর হাকীকত বলে ধারণা করা,
- মসজিদে পীর বা কোন লোকের জন্য কোন জায়গা নিদ্দিষ্ট করা,
- ফানা মানে আল্লাহর সঙ্গে এক (বিলীন) হইয়া যাওয়া ধারণা করা শেরক।
- মেয়ে লোকের ন্যায় লম্বা চুল বা জট রাখা,
- ছেলেদের হাতে ছুঁড়ি পরিধান করা, হাতে চিমটা রাখা,
- মেয়েও পুরুষ একত্রে বসে জিকির করা,
- আল্লাহ কেবল বাতেনী দেখবেন জাহেরী দেখবেন না ধারণা করা,
- কামেল পীর হতে শরীয়তের বন্ধন যথা-নামাজ,
- রোজা ইত্যাদি মাফ হওয়া,
- গাঁজা,আফিম, ভাং ইত্যাদি খাওয়া ধুমপান করা,অধিকাংশ আলেমের মতে মাকরুহ তাহরীমী,
- আবুজেহেলের হাতের কলেমা পাঠকরা পাথর ও হরজত (সঃ) পেটে বাঁধা পাথর পাওয়ার দাবী করা,
- কুরআন শরীফ ৪০ পারা ধারণা করা, বিবাহ শাদীতে বাজী পোড়ান, বাজনা বাজান, বরকে বেগানা স্ত্রীদের সামনে নিয়ে যাওয়া এবং উকি বুঝুঁকি মেরে দেখা,
- সোনা বা রূপা নির্মিত পান দান, আতরদান, সুরমা দান,
- খাসদান প্রভৃতি ব্যবহার করা, বিবাহ শাদীতে বরের মুখে সেহারা দেওয়া ও হাতে রাখী (কাংনা) বাঁধা,
- পুরুষের হাতে মেহদী ব্যবহার করা,
- মেয়েদের জন্য পুরুষের মজলিসে হাজির হওয়া,
- পুরুষের পক্ষে রেশমী কাপড় ও সোনার আংটি ব্যবহার করা,
- যাত্রাকালে হাঁচি দেওয়া, কাক ডাকা,
- খালি কলসী, শৃগাল ও সাপ প্রভৃতি দেখে শুভ-অশুভ ধারণা করা,
- চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণে আহার না করা,
- গর্ভবতী ও তার স্বামীর উভয়েই পেটের সন্তানের অমঙ্গল আশঙ্কায় কোন কিছু না কাটা এবং জবেহ ইত্যাদি না করা,
- নৌকাবাইচ, মরসীয়া, জারীগান, গরু, মোরগ ও কুকুর লড়াই, বাজী রাখা, ঘোড়া বা কুকুর দৌড়ান,
- তাস, পাশা, দাবা, বড়ে ইত্যাদি খেলা হারাম,
- জুয়া, লটারী, জীবনবীমা, জন্মবীমা ইত্যাদি করা যা হারাম।
- মেসওয়াকের পরিবর্তে ব্রাশ ব্যবহার করা, (ব্রাশ শুকরের লোমের হলে হারাম)
- যাত্রাকালে দরওয়াজার চৌকাঠ ছুঁয়ে সালাম করা,
- মসজিদের চৌকাঠও অন্যান্য জায়গায় সালাম করা,
- টিকটিকির শব্দকে সত্যের লক্ষণ ধারণা করা,
- আঁতুর ঘরের সামনে সন্তানের নিরাপদের জন্য খোঁচ কাঁটা প্রভৃতি পুতে রাখা,
- মাথার নিকট লোহা, জুতা ও ঝাড়ু ইত্যাদি রাখা, আঁতুর ঘরে সারারাত্রি বাতি জ্বালান,
- বদ নজরে বেগানা স্ত্রীলোকের প্রতি নজর করা,
- দাড়ি কামানো ও দাড়ি ছাঁটা, লম্বা মোচ রাখা, এলর্বাট কাটা নাজায়েজ ও কঠিন গোনাহ, মুসলমানী পোষাক পরিধানকে ঘৃণা করা এবং কোর্ট প্যান্ট কামিজ পরা,
- কাঁছা মারা, গোশালায় জুতা খড়ম পায়ে দিয়ে প্রবেশ না করা,
- হায়েজ ও নেফাস অবস্থায় গোসল ব্যতীত কোন পানাহারের পাত্র স্পর্শ না করা,
- বৃষ্টি, রৌদ্র, মোরগ হাঁস, মশা, মাছি, গরু, ছাগল, কাক, চিল ও সময় ইত্যাদিকে গালি দেওয়া।
- পিপীলিকা বা জীব জন্তুকে আগুনে পুড়িয়ে মারা।
- কতক জাহেল লোক মুদ্দার জন্য মান্নত করে থাকে এবং টাকা, মোমবাতি, ঘি, মোরগ, ডিম ইত্যাদি অলী আউলিয়াগণের কবরের নিকট তাদের সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায় এই গুলি নাজায়েজ ও হারাম।
- কোন অলী দরবেশ বা মূর্তির সম্মানার্থে কোন জীব জন্তু জবহ করা হারাম ও শেরক। (ফাতাওয়ায়ে সিদ্দিকীয়া পৃঃ ১৮, ১৯, ২০, ২১ উদ্ধৃত)
দাদা হুজুর (রঃ) এঁর আকায়েদ
বিদয়াতে হাসানার (দ্বীন সংক্রান্ত ভাল বিষয়বস্তু যা রসুলুল্লাহর (সঃ) জামানায় ছিল না, পরে বার হয়েছে) অস্তিত্ব স্বীকার করা,
মহফিলে মীলাদ ও কিয়াম করা, ইয়া নবী সালামু আলায়কা পড়া, প্রত্যেক আজানের পর হাত উঠিয়ে আজানের দোয়া পড়া, কবর পাকা গুম্বুজ করা, মহফিলে ওয়াজ ও তদুপলক্ষে ইসালে সওয়াবের মজলিস করা, গ্রামে জুময়া পড়া, বুজুর্গ ও বয়স্ক দিগের পায়ে হাত রেখে সেই হাত চুম্বন করা, গোল টুপি ব্যবহার করা,
ঈদের নামাজের পর মুসাফাহা করা, কোন ওলীর মাজার জিয়ারতের জন্য ভ্রমণে যাওয়া, মসজিদে দ্বিতীয় জামায়াত করা, কবর তালকীন করা, গোর জিয়ারত করা, নবী ও ওলীদের ওসীলা দিয়ে খোদার নিকট দোয়া চাওয়া, ওয়াজের মসলিসে উচ্চ শব্দে দরূদ পড়া,
কবর জিয়ারতের সময় কবরের দিকে হাত উঠিয়ে দোয়া চাওয়া, তারাবী নামাজে চার রাকাতের পর হাত উঠিয়ে দোয়া চাওয়া, বুজুর্গ ও বয়স্ক ব্যক্তির সম্মানের জন্য দাঁড়ানো, আখির জোহরের নামাজ পড়া, খতম তারাবী নামাজের পর হাফেজদিগকে
নজরানা স্বরূপ কিছু দেওয়া, নামাজে দোয়াল্লীন পড়া, হুক্কা-বিড়ি পান না করা, জুময়ার খুতবার সময় তার অনুবাদ না করা, বাতেনী এল্ম শিক্ষা ফরজ জানা, পীরী, মুরিদী এবং বাতেনী এলমের শিক্ষা পদ্ধতি ও জিকির মুরাকাবা ইত্যাদিকে জায়েজ ও বৈধ মনে করা।কতগুলি নাজায়েজ কার্য্য,কতগুলি নাজায়েজ কার্য্য্,কতগুলি নাজায়েজ কার্য্য্ কতগুলি নাজায়েজ কার্য্য ,কতগুলি নাজায়েজ কার্য্য্কতগুলি নাজায়েজ কার্য্য,
যে সমস্ত মাসায়েল গুলিকে তাঁরা নাজায়েজ বা হারাম বলতেন ,
- কবর সিজদাহ ও চচুম্বন করা ,বিনা জরুরতে কবরে বাতি জ্বালানো ,
- কোন ওলীর কবরে হাজত-মান্নত দেওয়া, গান-বাজনা করা বা শুনা,
- কাওয়ালীর মজলিস করা, বেশরা ওরস করা (অর্থাৎ যেখানে গান-বাজনা,
- সিজদা, কবর চুম্বন ও স্ত্রীলোকের সমাগম হয়ে থাকে)।
- মারেফাত বিদ্যাকে শরীয়াত হতে পৃথক জানা,
- পিছনে ছোট সামনে বড় চুল রাখা, কোট- প্যান্ট ও কলার উল্টানো জামা পরা,
- পীরের নামে মান্নত করতঃ মোরগ, মুরগী, খাসী ও ছাগল পীরের থানে জবেহ করা,
- শরীয়াত খেলাফ কার্য্যকারী ব্যক্তিকে পীর ধারণা করা,
- অতীত-কালের আলেম ও বুজুর্গদিগের তাবেদারী করাকে নাজায়েজ বলা,
- পীর, ওলী, বাতেনী এল্ম, জিকির ও মুরাকাবা ইত্যাদিকে অস্বীকার করা,
- পিতা-মাতা, পীর-ওলী, ওস্তাদের সম্মানে ও তাজীম করাকে ব্যক্তি পূজা বলা,
- পুরুষলোক স্ত্রীলোকের ন্যায় মাথায় চুল রাখা,
- বিবাহের সময় পণ নেওয়া,
- পণের টাকা দ্বারা ওলিমার খানা তৈরী করা, এরূপ ব্যক্তির দাওয়াত গ্রহণ করা,
- বিবাহ-শাদীতে বোম বা বাজী পুড়ান ও গান-বাজনা করা ইত্যাদি।
(তাহকীকুল মাসায়েল পৃঃ ২২৯ ও ২৩০ উদ্ধৃত)