আকায়েদ কি ? ঈমান ও ইসলামের মূল বিশ্বাস

আকায়েদ কি

ইলমে আকায়েদ কি ও তার উদ্দেশ্য:-

আকায়েদ কি-আকায়েদ ,আকিদা শব্দের বহুবচন। আকিদাহ অর্থ অন্তর্নিহিত বিশ্বাস এবং এমন বিশ্বাস সমূহ যাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ থাকেনা। ঈমান ও ইসলামের মূল বিশ্বাস সমূহকে আকিদা বলে।  যা ব্যাতিত মুমিন মুসলমান হওয়া যায় না।

ইলমে আকায়েদের বিষয় বস্তু:-

শরীয়তের উসুল অনুযায়ী ইসলামি আকায়েদ কি,

আকায়েদের শুদ্ধ পরিচিতি লাভ করা অথবা দ্বীনী সৌভাগ্য ও সঠিক সিদ্ধান্ত লাভকরাই এর উদ্দেশ্য।

পূর্ববর্তী আকায়েদ তত্ত্ববিদ গণের মতে আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্ত্ব ও গুন সমূহ ইলমে আকায়েদ কি তার বিষয় বস্তু। পরবর্তী আকায়েদ তত্ত্ববিদ গণের মতে-কেবলমাত্র আল্লাহ তায়ালার জাত পাক অর্থাৎ অস্তিত্ত্ব ও গুনাগুন অতিসাধারণ-অর্থাৎ সাধারণ স্থায়ী, এ ভাবে যে তার সম্পর্ক দ্বীনী আকীদা সমূহের সঙ্গে আছে।

জমহুর উলামাদের মতে কোন ভাবে যার সম্পর্ক দ্বীনের আকায়েদের সঙ্গে আছে তাই ইলমে আকায়েদের বিষয় বস্তু।

আকায়েদ কি ?মোট কথা ঈমান ও ইসলামের মূল বিশ্বাস সমূহকে আকায়েদ বলা হয়। যে সমস্ত বিশ্বাস ছাড়া মোমিন ও মুসলমান হওয়া যায় না। সে সমস্ত বিশ্বাস সমূহের মধ্যে কোন প্রকার ভূল থাকলে তার ঈমান ও আমাল আল্লাহ পাকের দরবারে কবুল হয় না। সে কারণে সর্ব প্রথম আমাদের আকিদার জ্ঞান লাভ করা ও আকিদার প্রতি লক্ষ্য রাখা বিশেষ প্রয়োজন।

ইলমে আকায়েদ কি লিখিত ইতিহাস:-

যেমন ধারায় ইলমে ফেকাহ ও উসুলে ফেকাহ এর প্রবর্তক হজরত নোমান বিন সাবিত ইমাম আবু হানিফা (রঃ) তেমনই ইলমে কালাম বা আকায়েদের বিষয়ে ও তিনি প্রথম মর্য্যাদা লাভ কারী ছিলেন। সুতরাং ইলমে কালামে ইমাম আবুহানীফা (রঃ) এর কিতাব “আল-ফিকহুল আকবার” ভিত্তি স্থাপনের দাবি রাখে। তারপর আকায়েদ কি এই সম্মন্দে 

আব্বাসী শাসন কালের তৃতীয় খলীফা আব্দুল্লাহ আল-মাহদীর সময়ে হিজরী ১৫৮ হতে ১৬৯ পর্যন্ত কিছু কিতাব লিখিত হয়েছিল। তার পর খলীফা হারুন রশীদের শাসন আমলে বায়তুল হিকমাতের কারণে আবিষ্কারক ও জিন্দিকদের প্রভাব ঘটে। ফলে অ-ইসলামিরাও ইসলামের প্রতি অভিযোগ আরম্ভ করল। তখন মুসলমানগণ তাদের অভিযোগের উত্তর গ্রহণীয় পদ্ধতিতে দেওয়া উচিৎ মনে করলেন। 

সে কারণে ঐ সময় হতে আহলে ইসলাম সুদৃঢ় ভাবে ইলমে কালাম লেখনী শুরু করেন। তৎকালীন সর্ব প্রথম লেখক আবুল হোজাইল। যিনি প্রথমে মোতাজেলী ছিলেন পরে আহলে সুন্নাতের মধ্যে আসেন ইন্তেকাল ২৫৫। নিম্ন লিখিত কিতাব গুলি অন্যতম।মধ্যে আসেন ইন্তেকাল ২৫৫। নিম্ন লিখিত কিতাব গুলি অন্যতম। (১)الْمِلَلُ وَالنَّحْلُ আলমিলালু অন নাহলু লেখক আবুমহাম্মাদ আলি ইবনে আহমাদ ইবনে হাজম উমাবী কুরতুবী নামে পরিচিত, ইন্তেকাল ৪৫৬ হিজরী।

(২) الرِّسَالَةُ الْقُدْسِيَّةُ بِأَدِلَّتِهَا الْبُرْهَانِيَّةِ) আর রেসালাতুল কুদসিয়া বি আদিল্লাতিহাল বুরহানিয়া-লেখক হুজ্জাতুল ইসলাম আবু হামিদ মুহাম্মাদ ইবনে মুহাম্মাদ গাজ্জালী (রঃ) ইন্তেকাল ৫০৮ হিজরী

( عِلْمِ الكَلامِ الدَّاعِي إِلَى الإِسْلامِ فِي أَصُولِ (3) ফী উছুলি ইলমিল কালাম, লেখক-শায়েখ আবুল বারাকাত আব্দুর রাহমান আম্বারী, ইন্তেকাল :- ৫৭৯ হিজরী। 

(8) كِفَايَةٌ لِلشَّ কেফায়াতুল্ লিশায়েখ। লেখকঃ- নূরুদ্দিন আহমাদ ইবনে মহাম্মাদ সাবুনী হানাফী

(৫) تَحْصِيلُ الْحَقِّ তাহসীলুল হক্ক।

(৬) دَلَائِلُ فِي عُيُونَ الْمَسَائِلِ দালায়েলু ফি উয়ুনিল মাসায়েল।

(৭) مَحْصِلُ أَفْكَارِ الْمُتَقَدِمِّينَ وَالْمُتَأْخِرِينَ بَيْنَ الْحُكْمَاءِ وَالْمُتَكَلِّمِي     মাহসিলু আফকারিল মুতাকদ্দিমিন ওয়াল মুতাআখিরীন বাইনাল হুকামায়ে ওয়াল মুতাকাল্লিমিন। লেখক – ইমাম ফখরুদ্দিন রাজী শাফেয়ী (রঃ) ইন্তে কাল ৬০৬ হিজরী

 (৮) نِهَايَةُ الْأَقْدَامِ নেহায়াতুল আকদাম )

(৯) الْمِلَلُ وَالنَّحْلُ আল মিলালু ওয়ান নাহাল নামে পরবর্তীকালে আর একজন লেখক আবুল ফাতাহ মুহাম্মাদ ইবনে আবুল কাসিম ইবনে আবু বকর আহমাদ শাহারিস্তানি, ইন্তেকাল ৫৪৮ হিজরী।

আকায়েদ কি

 

হাদিছ নং ৪১৪২ সউদী ছাপায় আছে-

 

أ ثُمَّ قَالَ: . هذا خطاً ثُمَّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ خَطَّ لَنَا رَسُولُ اللهِ الله . سَبِيلُ اللَّهِ ثُمَّ خَطَّ خُطُوطًا عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ ثُمَّ قَالَ هَذَا سُبُلٌ (قَالَ يَزِيدُ مُتَفَرِقَةٌ عَلَى كُلِّ سَبِيلٍ مِنْهَا شَيْطَانَ يَدْعُو إِلَيْهِ ثُمَّ قَرَاءَ إِنَّ هَذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيماً فَاتَّبِعُوهُ وَلَا تَتَّبِعُوا السَّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَنْ سَبِيلِهِ

 

করছে। অতঃপর রসুল্লাহ (সঃ) কুরআন শরীফের আয়াত তেলাওয়াত

 

হাদিছ নাসায়ী, ইবনে মাজা, দারমী ও মেশকাত শরীফে আছে।

 

হক পথ-সিরাতুল মুস্তাকীম শাখা পথ বাতিল পথ। শয়তানের আহ্বানের পথ।

 

হাদীছ শরীফে আছে-

 

تَفْتَرِقُ أُمَّتِي عَلَى ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ مِلَّةً كُلُّهُمْ فِي النَّارِ إِلَّا مِلَّةَ وَاحِدَةً قَالُوا مَنْ هِيَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ﷺ قَالَ مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِي رَوَاهُ التَّرْمِذِى وَفِي رِوَايَةِ أَحْمَدَ وَأَبِي دَاوُدَ عَنْ مُعَاوِيَةٌ شِئْتَانِ وَسَبْعُونَ فِي النَّارِ وَوَاحِدَةٌ فِي الْجَنَّةِ وَهِيَ

 

الْجَمَاعَةُ

 

রসুল (সঃ) বলেন, আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। একটি দল ছাড়া সমস্ত দল জাহান্নামে যাবে। ছাহাবাগণ (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রসুলাল্লাহ (সঃ) ঐ দলটি কোন দল? উত্তরে রসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন, আমি এবং আমার ছাহাবাগণ (রাঃ) যার উপর আছি (হাদিছ তিরমিজি শরীফ)

 

আবুদাউদ শরীফ এবং মুসনাদে আহমাদ শরীফের হাদিছে হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে- ৭২টি দল জাহান্নামে যাবে এবং ১টি দল জান্নাতে যাবে এবং সেটি জামায়াত অর্থাৎ আহলে সুন্নাত অল্ জামায়াত।

 

مَن سَنَّ بِغَيْرِ سُنَّتِي وَاهْتَدَى بِغَيْرِ هِدَايَتِي فَلَيْسَ مِنِّي

 

অর্থাৎঃ- যে আমার সুন্নাত ছাড়া অন্যকে সুন্নাত বলে এবং আমার পথ ছাড়া অন্য পথ দেখায় সে আমার কেউ নয়। (আল হাদিস) হাদিছ শরিফে আছে

مَنْ يَعِشُ مِنْكُمْ بَعْدِى فَسَيَرَى إِخْتِلَافًا كَثِيراً فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِينَ

 

হযরত ইরবাজ ইবনে সারিয়া রাঃ থেকে বর্ণিত আছে হজরত রসুল পাক (সঃ) বলেন, আমার 

পরে যারা বেঁচে থাকবে তাদের মধ্যেঅনেক মতভেদ দেখা যাবে, তখন আমার সুন্নাত ও আমার খলিফাদের সুন্নাত কে তোমরা শক্ত করে ধরে থাকবে। (মিশকাত শরীফ পৃঃ ৩০)

 

فَعَلَى الْمُؤْمِنِ إِتَبَاعُ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ فَالسُّنَّةُ مَا سَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ وَالْجَمَاعَةُ مَا اتَّفَقَ عَلَيْهِ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ ﷺ

 

সারমর্ম :- সুন্নাত্ অল্-জামায়াতের অনুকরণ করা প্রত্যেক মুসলমানের

 

নোট:- আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতে আকায়েদের ইমাম দু জন।

 

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ হে বিশ্বাসী বান্দাগন তোমরা আল্লাহ পাকের হুকুম মান্য কর ও রসুল (সঃ) এঁর সুন্নাত অনুসরন কর এবং উলিল আমরের মত অনুযায়ী চলো।

 

اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ

 

অর্থাৎ :- আমাদের সরল পথ দেখাও। সিরাতুল মুস্তাকিন এমনই একটি পথ যা সহজ সরল। যে পথে চললে ডানদিকে বামদিকে কোন প্রকার লক্ষ্য করার প্রয়োজন হয় না উদ্দেশ্য স্থলে পৌঁছান যায়। সে পথ

 

মতবাদ ও পথ দেখিয়েছেন। সে পথ ভ্রান্ত পথ।

উক্ত চারটি উসুল শরীয়াতের সমস্ত মাসয়ালা মাসায়েলের উৎস। এর মধ্যে কুরআন শরীফ সমস্ত বিষয়ে অগ্রাধিকার রাখে। কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে প্রথমে কুরআন শরীফ দেখতে হবে তার পর হাদীস শরীফ দেখতে হবে। হাদীস শরীফ যেহেতু কুরআন শরীফের তফসীর তাই হাদীস শরীফে উক্ত সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে। 

যদি কোন সমস্যার সমাধান কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফে না পাওয়া যায় তাহলে ইজমায়ে উম্মত দেখতে হবে। যদি সেখানেও না পাওয়া যায় তাহলে মুজতাহিদ কুরআন, হাদীস ও ইজমার আলোকে কিয়াস করবেন এবং উক্ত কিয়াসই শরীয়াতের বিধান হবে আর তাকে মান্য করা ওয়াজিব হবে। নিম্নে চার উসুলের প্রমান হিসাবে কিছু আয়াত ও হাদীস পেশ করা হল।

কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ ও উলিল আম্র মান্য করার প্রমান:-

আল্লাহ তায়ালা কুরআন পাকে ৫ম পারায় সুরা নিসার ৫৯ নং

أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ – তোমরা আল্লাহকে অনুসরণ কর এবং আল্লাহর রসুলকে ও তোমাদের মধ্যে উলিল আমর কে অনুসরণ কর। উক্ত আয়াত পাকে আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন, যা পালন করা ওয়াজিব।

ইজমা মান্য করার দলীল:-

আল্লাহ তায়ালা দ্বিতীয় পারায় সুরা বাকারার ১৪৩ নং আয়াতে বলেন- وَكَذَا لِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ

অর্থাৎ অনুরূপ ভাবে আমি তোমাদের কে মধ্যস্ত উম্মত করেছি যাতে তোমরা মানুষের প্রতি সাক্ষি হয়ে যেতে পার। (বুখারী শরীফ দ্বিতীয় খণ্ড ১০৯২ পৃঃ, তফসীর ইবনে কাছির ৩য় খণ্ড ১৯৪ পৃঃ এবং তফসীর বায়জাবী ২য় খণ্ড ১১৬ পৃষ্ঠায় ইজমার প্রমান হিসাবে উক্ত আয়াত পেশ করা হয়েছে)।

কিয়াস মান্য করার প্রমান:-

عَنْ مُعَادٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ بَعَثَ مَعَاذَا إِلَى الْيَمَنِ فَقَالَ كَيْفَ تَقْضِي فَقَالَ أَقْضِي بِمَا فِي كِتَابِ اللَّهِ قَالَ فَإِنْ لَمْ يَكُنُ فِي كِتَابِ اللَّهِ قَالَ فَبِسُنَّةِ رَسُولِ اللهِ ﷺ قَالَ إِنْ لَمْ يَكُنْ فِي سُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ قَالَ اجْتَهِدُ بِرَائِي قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي وَفَّقَ رَسُولَ رَسُولِ اللَّهِ لِمَا يُحِبُّ وَ يَرْضَى (ترمذى ص ابواب الاحكام)

অর্থাৎ হজরত মুয়াজ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে রসুলুল্লাহ (সঃ) মায়াজ (রাঃ) কে ইয়ামান দেশে পাঠানোর সময় জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি দ্বারা ফায়সালা করবে? উত্তর দিলেন আল্লাহর কিতাব দ্বারা। পুনরায় প্রশ্ন করলেন যদি তাতে না পাও? উত্তরে বললেন আল্লাহর রসুলের সুন্নাত দ্বারা। প্রশ্ন হল তাতে যদি না পাও? উত্তরে বললেন আমি (কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফের আলোকে) কিয়াস করব। রসুলুল্লাহ (সঃ) বললেন সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য যিনি তাঁর রসুলের দ্যূত কে নিজ পছন্দ ও প্রিয় কাজের তাউফিক দান করেছেন।

উক্ত হাদীস দ্বারা পরিস্কার বোঝা যায় যে কোন বিষয় কুরআন হাদীসে না পাওয়া গেলে তাদের আলোকে কিয়াস করা জায়েজ। যদি জায়েজ না হত তাহলে হুজুর (সঃ) তাঁর কথায় আনন্দিত হয়ে আল্লাহর প্রশংসা করতেন না বরং তাকে নিষেধ করতেন।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের শাখা ও আকিদা

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের চারটি শাখা আছে এবং প্রত্যেক শাখার এক একজন ইমাম আছেন, সেই ইমামগণের নামানুসারে ঐ শাখার নাম করণ করা হয়েছে। কুরআন পাকের অর্থ ও মাসয়ালা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এই শাখার উৎপত্তি। এই চারটি শাখার প্রত্যেকটি হক ও সত্য দল। (১) ইমাম আবু হানিফা (রঃ) এর অনুসারীগণ হানাফী। (২) ইমাম শাফেয়ী (রঃ) এর অনুসারীগণ শাফেয়ী। (৩) ইমাম মালিক (রঃ) এর অনুসারীগণ মালিকী (৪) ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল (রঃ) এর অনুসারীগণ হাম্বালী হচ্ছেন। উক্ত চার জন ইমামগণের মধ্য হতে যে কোন এক জন ইমামকে অনুসরণ করা ওয়াজিব।

ইমাম অনুসরণ করার প্রমান

আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে ১৪ পারায় সুরা নাহালের ৪৩ নং rafte afa فَاسْتَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِن كُنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ – তোমরা না জানো তাহলে আহলে জিকর (যারা জানেন বা ইমাম) গণকে জিজ্ঞাসা কর। এই আয়াতে ইমাম অনুসরণের প্রমান পাওয়া যায়।

যে কোন একজন ইমামকে মান্য করা ওয়াজিব:-

শরীয়তের ইমাম চার জন। উক্ত চার জনের মধ্যে যে কোন একজন কে অনুসরণ করা ওয়াজিব। একই সময়ে একাধিক ইমাম মান্য করা যাবে না। (বুখারী শরীফ ১ম খণ্ড ২৩৭ পৃষ্ঠায় হজরত ইকরামা (রহঃ) হতে বর্ণিত قَالَ لَهُمْ تَنْفِرُ قَالُوا لَا نَأْخُذُ بِقَوْلِكَ وَنَدَعُ قَوْلَ زَيْدٍ (بخاری شریف صد )

أَنَّ أَهْلَ الْمَدِينَةِ سَأَلُوا ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ إِمْراء ةٍ طَافَتْ ثُمَّ حَاضَتْ

অর্থাৎ মদিনা বাসিগণ হজরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) কে এমন এক নারী সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করল যার (হজ্বে) তওয়াফ করার পর হায়েজ এসেছে। উত্তরে ইবনে আব্বাস (রাঃ) বললেন সে রওয়ানা হবে। তখন তারা বলল আমরা আপনার কথা নিয়ে জায়েদের কথা পরিত্যাগ করব না।

উক্ত হাদীছ দ্বারা বোঝা যায় যে একজন ব্যক্তি একজনের কথা অনুসরণ করতে পারে একসঙ্গে দুজনের নয়। 

আকায়েদ কি বা আকায়েদ কি ও কাকে বলা হয় তা আমরা জানলাম ।আমি আসা করব আকায়েদ কি এই সম্মন্দে র কোন প্রশ্ন থাকবে না যদি থাকে তাহলে ,সরাসরি আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ,Email address -akhan154300@gmail.com

post টা ভালো লাগলে শেয়ারে করবেন।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top