শবে ক্বদরের ফজিলত,অনুসন্ধান ও বরকত: এবাদত।

রমজান মুবারকে শবেকদর নামে একটি রাত আছে যা কালাম পাকের ভাষায় হাজারো মাস অপেক্ষা উত্তম।এটাই শবে ক্বদরের ফজিলত,হাজার মাস, তিরাশী বছর চার মাসে হয়। এই রাতের এবাদত যার ভাগ্যে জুটেছে সে বড় ভাগ্যবান। সুরা ক্বদরের মধ্যে আল্লাহ পাক বলেন-

‎‫إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ‬‎

অর্থঃ- নিশ্চয় আমি কুরআন শরীফ কে এক সম্মানিত রাতে অবতীর্ণ করেছি।

ফায়েদা :- লওহে মাহফুজ থেকে প্রথম আছমানে কুরআন পাক ঐ রাতেই নাজেল হয়েছে। একটি আয়াতই ঐ রাতের মর্যাদার জন্য যথেষ্ঠ। সেই রাত সম্পর্কে অধিক আগ্রহশীল হওয়ার জন্য আল্লাহ পাক বলেন।

‎‫وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ‬‎

অর্থঃ- আপনি কি জানেন শবেকদর কত বড় বস্তু। অর্থাৎ কত বড় কল্যান কত বড় মর্যাদার অধিকারী সেই রাত আপনি কি জানেন? অতঃপর আল্লাহ পাক নিজেই কয়েকটি ফজীলত বর্ণনা করেন।

‎‫لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ‬‎

অর্থ:- “শবে কদর হাজার মাস হতেও উত্তম” অর্থাৎ- হাজার মাস এবাদাত করলে যে নেকি হয়, শবে ক্বদরে ইবাদাত করলে তার চেয়ে বেশি নেকি হাসিল হয়। উক্ত বেশীর পরিমান যে কত তা একমাত্র আল্লাহ পাকই জানেন।

‎‫تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا‬‎

সেই রাতে সমূহ ফেরেস্তা অবতরণ করেন এবং স্বয়ং জিব্রাঈল আমীন (আঃ) ও দুনিয়ায় অবতীর্ণ হন।

‎‫بِإِذْنِ رَبِّهِمْ مِنْ كُلِّ أَمْرٍ‬‎

নিজের রবের আদেশে প্রত্যেক পূণ্য বস্তু নিয়ে দুনিয়াতে অবতীর্ণ হন।

‎‫سَلَامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ‬‎

(প্রথম রাত্রি হতে) ফজর পর্যন্ত সেই রহমত বর্ষিত হতে থাকে।

শবে ক্বদরের ফজিলত, এবাদত।

‎‫عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ مَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ ثَوَاباً وَ‬‎

‎‫احْتِسَاباً غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ‬‎

অথঃ- হুজুর পাক (সঃ) বলেন যে ব্যক্তি শবে ক্বদরে আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে নেকির আশায় এবাদাত করে তার পূর্ব কৃত সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (বুখারী ও মুসলিম)

এখানে নামাজ তেলাওয়াত জিকির সব রকম এবাদাত বোঝানো হয়েছে। নেকির আশায় অর্থাৎ রিয়া ও বদ নিয়েত যেন না হয়। উল্লেখিত হাদিছে ছগীরা গোনাহ বুঝানো হয়েছে। কবীরা গোনাহ মাফির জন্য কুরআনের ভাষায় তওবারও প্রয়োজন।

‎‫عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ إِذَا كَانَ لَيْلَةُ الْقَدْرِ نَزَلَ جِبْرِيلُ فِي‬‎ ‎‫كَبُكَبِةٍ عَبْرِيلُ فِي كَبُكَبِةٍ عَبُّ عَبِّيْ عَبِّيْ عَلِّيْ قَلِّ عَلِّي ِمٍ أَو قَاعِدٍ يَذْكُرُ‬‎

‎‫اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ فَإِذَا كَانَ يَوْمُ عِيْدِهِمْ يَعْنِي يَوْمَ فِطْرِهِمُ بَاهَى بِهِمُ‬‎‎‫مَلَئِكَتَهُ فَقَالَ أَيْ مَلْئِكَنِي مَا جَزَاءُ أَجِيْرٍ وَفِي عَمَلَهُ قَالُوا رَبَّنَا جَزَلَهُ قَالُوا رَبَّنَا‬‎ ‎‫جَزَاءَ قَالَكِيُهُ أَن يُوْفَرَاءِ قَالِيُهُ أَن يُوْفَرَاءِ قَالِيُهُ أَن يُوْفَرَاءِ قَالِيْهُ‬‎ ‎‫وَامَائِي قَضَوْا فَرِيضَتِي عَلَيْهِمْ ثُمَّ خَرَجُوا يَعُجُّونَ 

إِلَى الدُّعَاءِ وَ عِزَّتِي وَ‬‎ ‎‫جَلَالِي وَ جَلَالِي وَ كَرَمِوَي لَعُفَي لَعُفَي وَكُمْ ِيبَنَّهُمْ فَيَقُولُ ارْجِعُوا فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ‬‎ ‎‫وَبَدَّلْتُ سَيِّاتِكُمْ حَسَنَاتٍ قَالَ فَيَرْجِعُونَ مَغْفُهُورا (رواه البيهقى)‬‎

অর্থঃ- নবীয়ে করীম (সঃ) বলেন শবে ক্বদরে জিব্রাঈল (আঃ) ফেরেস্তাদের একটি জামায়াত নিয়ে অবতীর্ণ হন। দাঁড়ানো ও বসা অবস্থায় যারা আল্লাহর জিকির এবং বিভিন্ন এবাদাতে লিপ্ত থাকে, তাদের জন্য রহমতের দোওয়া করেন।

 যখন ঈদুল ফিত্র উপস্থিত হয় আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং ফেরেস্তাদের সামনে বান্দাদের এবাদতের উপর গর্ব করেন, এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন হে ফেরেস্তারা যে, মজদুর নিজ কর্তব্য পূর্ণ ভাবে সমাধা করল তার প্রতিদান কি? ফেরেস্তারা বললেন তার পারিশ্রমিক পরিপূর্ণ দেওয়া উচিৎ।

এরশাদ হবে হে ফেরেস্তারা আমার বান্দা ও বান্দীগণ পরিপূর্ণ ভাবে আমার ফরজ পালন করে উচ্চস্বরে দোওয়া সহকারে ঈদগাহে রওনা হয়েছে, আমার ইজ্জত ও বুজুর্গীর কছম! 

আমার দান ও মর্যাদার কছম! আমি তাদের সকল বাসনা পূর্ণ করব।

অতঃপর বান্দাদের লক্ষ্য করে বলেন তোমাদের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়েছে এবং তোমাদের গুনাহ গুলি নেকিতে পরিণত করে দেওয়া হয়েছে। তাই বান্দাগণ ঈদগাহ থেকে নিস্পাপ বেগুনাহ হয়ে বাড়ি ফেরে।

জ্ঞাতব্য বিষয় :- হজরত জিব্রাঈল (আঃ) ফেরেস্তাদের সাথে দুনিয়ায় আসেন এ কথা কুরআনে উল্লেখ আছে এমনকি হাদিছে বর্ণিত আছে হজরত জিব্রাঈল (আঃ) ফেরোদিগকে হুকুম করেন, যেন প্রতিটি ইবাদাত কারীর ঘরে গিয়ে তাদের সঙ্গে মোছাফাহা করেন। 

হজরত আব্দুল্লাহ এবনে আব্বাস (রঃ) হাদিছ বর্ণনা করেন যে,

জিব্রাঈল (আঃ) এর কথামত ফেরেস্তারা কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে যান, এবং জলে স্থলে ঘরে বাহিরে যেখানেই আল্লাহর কোন প্রিয় বান্দা থাকেন তার সঙ্গে মোছাফাহা করেন। 

কিন্তু যে সব গৃহে শুকর বা কুকুর বা জীবের ছবি টাঙ্গানো থাকে সে সব ঘরে রহমতের ফেরেশতারা প্রোবেশ করেও না।

শবে ক্বদরের ফজিলত কি? কিভাবে এবাদত করতে হয় ।তা বিস্তারিত আলোচনা

Table of Contents

শবে কদর কবে সন্ধান করতে হবে?



‎‫عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الوِتْرِ‬‎ ‎‫من العشر الأواخر من رمضان (بخاري)‬‎

 

অর্থঃ- হজরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে হুজুর (সঃ) বলেন যে, রমজানের শেষ দশ দিনের বে জোড় তারিখে তোমরা শবে হৃদর অনুসন্ধান করো। (বুখারী)

 

ফায়েদা:- উলামাদের মতে শেষ দশ দিন ২১ এর রাত থেকে শুরু হয় এই হিসাব মতে ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ রাতে অনুসন্ধান করতে হবে।

শবে কদর অনির্দিষ্ট থাকার হিকমত

 অধিক ইবাদাত, নেকী ও আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভ।

নির্দিষ্ট হলে তার আশায় লোক এখন যে, অন্যরাতেও এবাদাত করে তা একেবারে ছেড়ে দিত

অনেক মানুষ গোনাহ না করে থাকতে পারে না নির্দিষ্ট হলে সেই রাতে পাপ করে নিশ্চিত ধ্বংশ হয়ে যেত। 

যতগুলি রাত কুন্দর মনে করে এবাদতে কাটাবে প্রত্যেকটির পৃথক পৃথক নেকি লাভ করবে।



শবেকদরে পড়ার দোওয়া

 

‎‫عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ﷺ أَرَيْتَ إِنْ عَلِمْتُ أَنَّ لَيْلَةٍ لَيْلَهُ الْقَدْرِ لَيْلَهُ الْقَدْرِ‬‎ ‎‫مَا أَيْلَهُ الْقَدْرِ مَا أَيْلَهُ الْقَدْرِ مَا أَيْلَهُ الْقَدْرِ مَا أَيْلَهُ الْقَدْرِ كَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّى‬‎

 

অর্থঃ- হজরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি একদা হুজুর (সঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম হে আল্লাহর রসুল, আমি যদি সত্যিকারের শবে কুদর পেয়ে যাই তবে কি দোওয়া করবো? হুজুর (সঃ) বলেন এই দোওয়া পড়বে- (আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নী) হে আল্লাহ তুমি বড় ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভাল বাস। কাজেই তুমি আমাকে ক্ষমা কর। (ইবনে মাজা)



ফায়েদাহ ঃ– হজরত সুফিয়ান (রাঃ) বলেন সেই রাত্রে দোওয়ায় লিপ্ত হওয়া অন্য যেকোন এবাদতের চেয়ে উত্তম। এবনে রজব বলেন হরেক রকমের এবাদত কিছু কিছু করাই ভাল যেমন নামাজ, তেলাওয়াত, দোয়া, মোরাকাবা ইত্যাদি। হুজুর (সঃ) হতে ও সব রকম এবাদাত বর্ণিত আছে।

এ'তেকাফ রমজানের কোন অংশে করা সুন্নাত

এ'তেকাফ রমজানের কোন অংশে করা সুন্নাত

 

‎‫عَنْ أَبِي سَعِيدِ الْخُدْرِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ اعْتَكَفَ الْعَشَرَ الأَوَّلَ مِنْ رَمَضَانَ‬‎ ‎‫ثُمَّ قَطَكَثَكَفَ الأَوْسَيُةُ طْلَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ إِنِّي أَعْتَكِفُ الْعَشَرَ الأَوَّلَ الْتَمِسُ هَذِهِ اللَّيْلَةَ‬‎ ‎‫ثُمَّ أَعْتَكِفُ فَقَالَ إِنِّي أَعْتَكِفُ الْعَشَرَ الأَوَّلَ الْتَمِسُ هَذِهِ اللَّيْلَةَ ثُمَّ أَعْتَكِفُ‬‎ ‎‫ثُمَّ أَعْتَكِفُ ثُمَّ أَعْتَكِفُ الأَوْسَطَ فَقَيُتِ فَقَالُ فِي الأَوْسَطَكِفُ ي الْعَشَرِ الْأَوَاخِرِ‬‎ ‎‫فَمَنْ

 كَانَ اعْتَكَفَ مَعِي فَلْيَتَعْكِفِ الْعَشَرَ الْأَوَاخِرَ فَقَدْ أُرِيتُ هَذِهِ اللَّيْلَةَ ثُمَّ‬‎ ‎‫أُنسِيتُهَا وَقَدْ رَأَيْتُنِي أَسْجُدُ فِي مَاءٍ وَطِينٍ مِنْ صَبِيحَتِهِهَا فَالْتَمِسُوهَاُ فَالْتَمِسُوهَا‬‎ ‎‫الْعَشِيَهَا فَالْتَمِسُوهَا ي 

كُلِّ وَتُرٍ قَالَ فَمَطَرَتِ السَّمَاءُ تِلْكَ اللَّيْلَةَ وَكَانَ‬‎ ‎‫الْمَسْجِدُ عَلَى عَرِيشٍ فَوَكَفَ اللهَ عَلَى عَرِيشٍ فَوَكَفَ اللهَ عَلَى الْمَسْجِدُ رَبَتُلَعُ‬‎ ‎‫الْمَسْجِدُ رَبَتُفَ اللهَ عَلَي أَبْهَتِهِ أَثْرُ الْمَاءِ وَ الطَّيِّنِ مِنْ صَبِيحَةِ احدى‬‎

 

‎‫وَ عِشْرِينَ (مشكوة شريف)‬‎

 

অর্থঃ- হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন নবী করীম (সঃ) রমজান মাসের প্রথম দশদিন এ’তেকাফ করেন। তার পর দ্বিতীয় দশ দিনেও এ’তেকাফ করেন তার পর তুরকী তাবুর ভিতর থেকে মাথা বের করে বললেন, 

আমি প্রথম দশকে এবং দ্বিতীয় দশকে একমাত্র শবেকদর অনসুন্ধান করার জন্য এ’তেকাফ করে ছিলাম। অতঃপর কেউ এসে আমাকে বলে গেল যে, শবেকদর শেষ দশকে আছে যারা আমার সঙ্গে এ’তেকাফ করেছে তারা যেন শেষ দশকেও এ’তেকাফ করে।

 শবে ক্বদরের রাত আমাকে দেখান হয়ে ছিল সত্য কিন্তু আমি তা ভুলে গেছি। তবে তার নিদর্শন এই যে আমি নিজেকে পানি এবং কাদার মধ্যে সেজদা করতে দেখেছি। কাজেই তোমরা শেষ দশকে শবে কদর তালাশ কর। বর্ণনা কারী বলেন সেই রাতে বৃষ্টি হয়েছিল।

খেজুর পাতার ছাউনি হওয়ার কারণে ঘরে বৃষ্টি পড়েছিল। আমি স্বচক্ষে হুজুর (সঃ) কে দেখেছি যে তাঁর কপালে কাদাও মাটির চিহ্ন ২১ তারিখের সকালে।

 

জ্ঞাতব্য বিষয়:- হুজুর (সঃ) সর্ব সময় রমজান মাসে এ’তেকাফ করতেন। হাদিছের বর্ণনা মোতাবেক পূর্ণ একমাস এ’তেকাফ করার উদ্যেশ্য ছিল শবে কুন্দর তালাশ করা। নতুবা হুজুর (সঃ) নিজ এন্তেকালের বছর ১০ দিন এ’তেকাফ করেছেন। তাই ১০ দিন এ’তেকাফ করা সুন্নাতে মোয়াক্কেদাহ কেফায়া সাব্যস্ত হয়েছে।

 

‎‫عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ قَالَ فِي الْمُعْتَكِفِ هُوَ يَعْتَكِفُ‬‎

 

‎‫الذُّنُوبَ وَيَجْرِى لَهُ مِنَ الْحَسَنَاتِ كَعَامِلِ الْحَسَنَاتِ كُلِّهَا (مشكوة شريف)‬‎

 

অর্থঃ- হুজুর (সঃ) এরশাদ করেন এ’তেকাফ কারী সকল পাপ থেকে মুক্ত থাকে এবং তার জন্য এত বেশি নেকী লিখিত হয়, যেন স্বয়ং সে সমস্ত রকমের নেক কাজ করেছে। (মেশকাত শরীফ)


ফায়েদা :– এই হাদিছে এ’তেকাফের দুটি উপকারিতা বর্ণিত হয়েছে। প্রথমতঃ, যাবতীয় পাপ থেকে মুক্ত হওয়া। বাইরে থেকে এই মোবারক সময়ে হয়তো গোনাহে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল কিন্তু এ’তেকাফের দ্বারা রক্ষা পাওয়া গেল। দ্বিতীয়ত, না করেও অনেক সৎকাজ যেমন জানাজায় শরীক হওয়া রোগীর সেবা করা ইত্যাদির নেকী পাওয়া যায়।

এ'তেকাফের ফজিলত

এ'তেকাফের ফজিলত

 

‎‫عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ كَانَ مُعْتَكِفَا فِي مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ ﷺ فَآتَاهٍ رَجُلٌ‬‎ ‎‫فَسَلَّمَ عَلَيْهِ عَلَيْهِ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ عَلَيْهِ ثُمَّ جَلَقَالُ فَالَقَالُ عَلَيْهِ َانٌ أَرَاكَ مُكْتَباً‬‎

‎‫حَيْنَا قَالَ نَعَمْ : يَا ابْنَ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ ﷺ لِلْفُلَانِ عَلَى حَقٌّ وَلِحُرُمَةِ‬‎ ‎‫صَاحِبِ هَذَا الْقَبَرِ مَاُلَ قَالَ عَبَهِ عَذَا الْقَبَرِ مَاُلَ أَبْرِ ٍ أَفَلَا أَكَلِّمُهُ فِيْكَ‬‎ ‎‫قَالَ إِنْ أَحْبَبْتَ قَالَ فَانتَقَلَ ابْنُ عَبَّاسٍ ثُمَّ خَرَجَ مِنَ الْمَسْجِدِ مِنَ الْمَسْجِدِ‬‎ 

‎‫قَالَ لَهُ فَيْتِ الْمَسْجِدِ قَالَ لَهُ ِ قَالَ وَلَكِنِّي سَمِعْتُ صَاحِبَ هَذَا الْقَبْرِ‬‎ ‎‫وَالْعَهْدُ بِهِ قَرِيبٌ فَدَ مَعَتْ عَيْنَاهُ وَهُوَ يَقُولُ مَن مَشَى فِي حَاجَةِ أَخِيهِ‬‎ ‎‫وَبَلَغَ فَيهَا كَانَ لَيْتِنِهِ مِشْرِفِي ينَ وَ مَنْ اعْتَكَفَ يَوْمَا ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللهِ‬‎ ‎‫جَعَلَ اللَّهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ النَّارِيكَ خَنَادِقَ أَبْعَدَ مِمَّاِنَ الْقَيْفَ أَبْعَدَ مِمَّا الْمَاْنِ‬‎

 

অর্থ:- হজরত এবনে আব্বাস (রাঃ) রসুলে পাক (সঃ) এর মসজিদে এ’তেকাফে রত ছিলেন। এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি এসে তাঁকে সালাম করে বসে পড়লেন। এবনে আব্বাছ (রাঃ) বললেন তোমাকে এত বিষন্ন দেখছি কেন? সে বলল হে আল্লাহর নবীর চাচাত ভাই নিশ্চয় আমি দুঃখিত।

 যেহেতু আমি এক ব্যক্তির কাছে ঋণী আছি এবং হুজুর (সঃ) এর মাজারের দিকে ইশারা করে বলল ঐ মাজার ওয়ালার ইজ্জতের কসম! ঐ ঋণ আদায় করার ক্ষমতা আমার নেই। ইবনে আব্বাছ (রাঃ) বললেন আমি কি তোমার জন্য সুপারিশ করব। 

সে বলল আপনি যা ভাল মনে করেন, একথা শুনে। তৎক্ষণাত তিনি জুতো পরে বাইরে আসলেন। লোকটি বলল জনাব আপনি এ’তেকাফের কথা বোধ হয় ভুলে গেছেন। তিনি বললেন না, ভুলি নি।

 বেশি দিনের কথা নয় আমি এই কবর ওয়ালার নিকট হতে শুনেছি, তখন এবনে আব্বাছের চক্ষু দিয়ে অশ্রু ধারা বইছিল।

 তিনি বলেন কোন ব্যক্তি যদি আপন ভাইয়ের কোন প্রয়োজন মিটাবার জন্য রওনা হয় তবে দশ বছর এ’তেকাফ করার চেয়েও উত্তম হবে এবং যে, ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একদিন এ’তেকাফ করেন আল্লাহ পাক তার এবং জাহান্নামের মধ্যে তিনটি খন্দক দূরত্ব করে দেন যার দূরত্ব জমীন ও আসমানের দূরত্ব হতেও

জ্ঞাতব্য বিষয়:- একদিনের এ’তেকাফের এত ছওয়াব হলে দশ বছরের এ’তেকাফের কত ফজিলত হবে চিন্তা করে দেখুন। আল্লামা শারাণী (রঃ) বর্ণনা করেন রমজানের এক দিন এ’তেকাফ করা দুই হজ্ব ও ওমরাহ সমান।

এবং যে ব্যক্তি জমাতের মসজিদে মগরিব থেকে ইশা পর্যন্ত এ’তেকাফ করে জিকির ও তেলাওয়াত করে তার জন্য জান্নাতে একটি বালা খানা তৈরী করা হয়। আল্লাহ পাক আমাদেরও এ’তেকাফ করার তৌফিক দান করুন ও তার ফজিলত দান করুন।

 

রামজানের শেষ ১০ দিন শবে ক্বদরের ফজিলত সম্পূর্ণ হাসিল করতে এতেকাফ থাকা, সর্ব সমাই আল্লাহর ধ্যানে মশগুল থাকার এর থেকে ভালো বাবস্তা আর হতে পারে না ।

একটি মাসয়ালা

 

কোন মুসলমানের উপকারের জন্য মসজিদ থেকে বের হলে এ’তেকাফ নষ্ট হয়ে যায়। ওয়াজিব এ’তেকাফ হলে তার কাজা করা ওয়াজিব। হুজুর পাক (সঃ) পায়খানা প্রস্রাবের প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোন প্রয়োজনে মসজিদ থেকে বার হতেন না।

 হতে পারে এবনে আব্বাস (রাঃ) এর উক্ত এতেকাফ নফল ছিল অথবা এতবড় কুরবানী ঐ সমস্ত মহাপুরুষ দের জন্য শোভা পায় যারা মৃত্যু শয্যায় পিপাসিত হয়ে ও ছটফট করতে করতে প্রাণ ত্যাগ করেন তবুও পাশের পিপাসিত ভাইয়ের পূর্বে একবিন্দু পানিও স্পর্শ করেন না।

 

‎‫رَبَّنَا تَقَبَّلُ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ وَتُبُ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ وَصَلَّى اللهَ خَلَى عَلَى مِنَّا مِنَّكَ أَنْتَ‬‎ ‎‫السَّمِيعُ الْعَلِيمُ وَتُبُ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ وَصَلَّى اللهَ خَلَى عَلْهِ مِنَّا مِنَّكَ َّدٍ وَ آلِهِ وَأَصْحَابِهِ‬‎

 

‎‫اجْمِعِينَ بِرَحْمَتِكَ يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ‬‎

 শবে ক্বদরের ফজিলত কি, শবে ক্বদরের ফজিলত সম্মন্দে , শবে ক্বদরের ফজিলত নিয়ে , শবে ক্বদরের ফজিলত উপভোগ , শবে ক্বদরের ফজিলত আল্লাহ্‌ সমস্ত ইমানদার মানুষ কে নোসীব করুক, আমীন 

 শবে ক্বদরের ফজিলত নিয়ে কোনো জিজ্ঞাসা প্রশ্ন থাকলে সরাসরি যোগাযোগ করুন ,

 শবে ক্বদরের ফজিলত পোস্ট টা ভালো লাগলে শেয়ার করুন। 

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top