নামাজের মধ্যে ওয়াজিব সমূহের মাসায়েল
নামাজের মধ্যে ওয়াজিব কিছু কাজ আছে যা করা অপরিহার্য । অর্থাৎ এমন কাজ যা ইচ্ছাকৃত ছাড়লে নামাজ বাতিল হয়ে যায়, ভুল বশতঃ ছাড়লে, সাজদা সহু ওয়াজিব হয়। যদি সাজদা সহু না করা হয় তাহলে ঐ নামাজ পুনরায় পড়তে হয়।
মাসয়ালা :- নামাজে সম্পূর্ণ সুরা ফাতেহা পড়া ওয়াজিব। যদি এক অক্ষর ও ছেড়ে যায় ওয়াজিব আদায় হবে না।
মাসয়ালা :- খাস “আল্লাহু আকবার” শব্দ দ্বারা তকবীরে তাহরিমা বলা নামাজের মধ্যে ওয়াজিব।
মাসয়ালা :- তকবীরে তাহরিমার পর এতক্ষণ দাঁড়ানো ওয়াজিব যাতে সুরা ফাতেহা ও অন্য সুরা পড়া যায়।
মাসয়ালা :- সুরা ফাতেহার পর অন্য সুরা অথবা ছোট তিন আয়াত অথবা এমন বড় এক আয়াত পাঠ করা নামাজের মধ্যে ওয়াজিব যা ছোট তিন আয়াতের সমতুল্য হয়।
মাসয়ালা :- প্রত্যেক ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে এবং অন্য নামাজের সব রাকাতে এক বার সুরাফাতেহা পাঠ করা নামাজের মধ্যে ওয়াজিব। যদি কেউ দুবার পাঠ করেন তাহলে সাজদা সহু করা ওয়াজিব হবে।
মাসয়ালা :- প্রথমে সুরা ফাতেহা তার পর অন্য সুরা পড়া নামাজের মধ্যে ওয়াজিব। যদি প্রথমে অন্য সুরা তার পর সুরা ফাতেহা পড়া হয় তাহলে ওয়াজিব আদায় হবে না।
মাসয়ালা :- ফরজ নামাজের প্রথম দুরাকাতে কেরাত করা নামাজের মধ্যে ওয়াজিব। যদি কেবল দ্বিতীয় ও তৃতীয় বা তৃতীয় চতুর্থ রাকাতে কেরাত করা হয় তাহলে ওয়াজিব আদায় হবে না।
মাসয়ালা :- রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো নামাজের মধ্যে ওয়াজিব যাকে কওমা বলা হয়। ঐ সময় এক তসবীহ পরিমান সময় বিলম্ব করা ওয়াজিব।
মাসয়ালা :- জালসা অর্থাৎ প্রথম সাজদার পর সোজা হয়ে বসা নামাজের মধ্যে ওয়াজিব।
মাসয়ালা :- তা’দীলে আরকান অর্থাৎ নামাজের প্রত্যেক রুক্স ধীরে ধীরে আদায় করা ও প্রত্যেক দুই রুকনের মধ্যে এক তাসবীহ পরিমান বিলম্ব করা নামাজের মধ্যে ওয়াজিব।
মাসয়ালা :- সাজদার মধ্যে হাত হাঁটু এবং নাকের শক্ত অংশ মাটিতে রাখা ওয়াজিব (মারাকিউল ফালাহ)
মাসয়ালা :- দ্বিতীয় সাজদা কে তার পরবর্তী কাজের আগে আদায় করা।যেমন প্রথম বাকাতে দাঁড়িয়ে পড়লে ওয়াজিব আদায় হবে না। (শামী)
মাসয়ালা :- প্রথম ও দ্বিতীয় বৈঠকে “আত্তাহিইয়াতু” পড়া এবং তার পরই তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়ানো নামাজের মধ্যে ওয়াজিব যদি আত্তাহিইয়াতু পড়ার পর “আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা” পর্যন্ত পড়ে ফেলেন সাজদা সাহু ওয়াজিব হবে না। কিন্তু যদি তার পর “মুহাম্মাদিন” পড়ে ফেলেন তাহলে সাজদা সাহু করা ওয়াজিব হবে।
মাসয়ালা :- যতবার বৈঠক করা হবে ততবার “আত্তাহিইয়াতু” পড়া নামাজের মধ্যে ওয়াজিব
মাসয়ালা :- তিন অথবা চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজে কা’ দায়ে উলা বা প্রথম বৈঠক করা ওয়াজিব। না করলে সাজদা সাহু ওয়াজিব হবে।
মাসয়ালা :- নামাজের ভিতর এমন কাজ করা যার কারণে ফরজ বা ওয়াজিব আদায় করতে কোন প্রকার বিলম্ব হয় তাহলে সাজদা সাহু ওয়াজিব হবে।
মাসয়ালা :- দুই ঈদের নামাজে স্বাভাবিক তকবীর ছাড়া ছয় তকবীর পড়া ওয়াজিব। ঈদের নামাজের দ্বিতীয় রাকাতে রুকুতে যাওয়ার সময় তিন তকবীর পড়া ওয়াজিব।
মাসয়ালা :- ইমামের জন্য ফজর, মাগরিব, ইশার ফরজ নামাজের প্রথম দুরাকাতে কাজা হোক বা আদায় হোক এবং জুমা, দুই ঈদ, তারাবিহ ও রমজান মাসে বিত্র নামাজের তিন রাকাতে জোরে কেরাত করা ওয়াজিব। একাকি নামাজ পাঠ কারীর জন্য তার ইচ্ছা উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জোরেও পড়তে পারেন আস্তে ওপড়তে পারেন।
মাসয়ালা :- জোহর এবং আসরের চার রাকাত এবং অন্যান্য নামাজের ও চার রাকাতে আস্তে কেরাত করা ওয়াজিব।
নোট:- নামাজের কোন ওয়াজিব ভুল ক্রমে ছেড়ে গেলে বা আদায়ে তিন তাসবীহ পরিমান বিলম্ব হলে সাজদা সাহু ওয়াজিব হয়। ইচ্ছাকৃত ছেড়ে দিলে উক্ত নামাজ পুনরায় পড়া ওয়াজিব।
মাসয়ালা :- যে নফল নামাজ গুলি দিনের বেলা পড়া হয় তাতে আস্তে কেরাত করা নামাজের মধ্যে ওয়াজিব। এবং রাতের নফল নামাজে নামাজ পাঠ কারীর ইচ্ছার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মাসয়ালা :- একাকি নামাজ পাঠ কারী যদি ফজর মাগরিব এবং ইশার কাজা নামাজ দিনের বেলা পড়েন তাহলে আস্তে পড়া নামাজের মধ্যে ওয়াজিব আর রাতে পড়লে তাঁর ইচ্ছা ধীন।
মাসয়ালা :- মগরিব ও ইশার নামাজের প্রথম দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতেহার পর যদি অন্য সুরা মিলাতে ভুলে যায় তাহলে তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে সুরা ফাতেহার পর অন্য সুরা মিলাতে হবে এবং তা জোরে পড়তে হবে।
মাসয়ালা :- সালাম শব্দ দ্বারা নামাজ শেষ করা ওয়াজিব। দুবার আসসালামু আলাইকুম (রহঃ) বলা নামাজের মধ্যে ওয়াজিব।
মাসয়ালা :- প্রত্যেক ফরজ ওয়াজিব কে নিজ স্থানে আদায় করা নামাজের মধ্যে ওয়াজিব।
মাসয়ালা :- ইমামের কেরাত করা কালে মুক্তাদির চুপ থাকা ওয়াজিব।
মাসয়ালা :- অন্য রুক্সে মুক্তাদির জন্য ইমামের তাবেদারী করা ওয়াজিব।
মাসয়ালা :- দোওয়া কুনুতের তকবীর দেওয়া ওয়াজিব।
মাসয়ালা :- কোন রুক্স নিয়মিত পরিমান ছাড়া বেশী না করা ওয়াজিব।
Table of Contents
নামাজের মধ্যে সুন্নাত সমূহের মাসায়েল
মাসয়ালা :- তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় মাথা নিচু না করা সুন্নাত
মাসয়ালা :- তাকবীরে তাহরীমা বলার পূর্বে পুরুষের জন্য কান পর্যন্ত এবং নারীদের জন্য কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠানো সুন্নাত।
মাসয়ালা :- তাকবীরে তাহরীমার জন্য হাত উঠানোর সময় হাতের তালু এবং আঙুলগুলির পেট কিবলা মুখি করা সুন্নাত।
মাসয়ালা :- হাত তোলার সময় হাতের আঙুলগুলি খুব বেশী জড়ো বা প্রশস্ত না করা সুন্নাত।
মাসয়ালা :- তাকবীরে তাহরীমা বলার পর সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের জন্য নাভির নীচে এবং মহিলাদের জন্য সিনার উপর হাত বাঁধা সুন্নাত।
মাসয়ালা :- পুরুষদের জন্য ডান হাতের তালু বাম হাতের উপর রেখে বুড়ো আঙুল এবং কড়ি আঙুল দিয়ে বাঁম হাতের কব্জি ধরে রাখা এবং বাকী আঙুলগুলি সোজা রেখে দেওয়া সুন্নাত। দুই আঙুল দিয়ে ধরা সুন্নাত নয়।
মাসয়ালা :- হাত বাধার পরেই “সানা” পাঠ করা সুন্নাত।
মাসয়ালা :- ইমাম এবং একাকি নামাজ পাঠ কারীর জন্য “সানা”র পর আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রজীম ও বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম পড়া সুন্নাত।
মাসয়ালা :- প্রত্যেক রাকাতের শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া সুন্নাত।
মাসয়ালা :- ইমাম এবং একাকি নামাজির জন্য সুরা ফাতেহার পর মনে মনে আমীন বলা সুন্নাত। কেরাত জোরে হলে মুক্তাদিগণ ও মনে মনে আমীন বলবেন।
মাসয়ালা :- আমীন শব্দটি আস্তে বলা সুন্নাত।
মাসয়ালা :- কেয়ামের সময় দু-পায়ের মাঝে চার আঙুল ফাঁকা রাখা সুন্নাত।
মাসয়ালা :- যদি সফর অথবা অসুবিধা না থাকে তাহলে নামাজের সুন্নাত কেরাত পড়া সুন্নাত।
মাসয়ালা :- ফজরের ফরজ নামাজের প্রথম রাকাতকে দ্বিতীয় রাকাতের তুলনায় একটু লম্বা করা সুন্নাত।
মাসয়ালা :- রুকুতে যাওয়ার সময় তাকবীর বলা সুন্নাত। যাওয়ার শুরুতে তাকবীর শুরু হবে এবং রুকুতে গিয়ে তাকবীর শেষ হবে।
মাসয়ালা :- পুরুষদের জন্য দুই হাটুকে হাত দিয়ে ধরা এবং নারীদের কেবল হাত রেখে দেওয়া সুন্নাত।
মাসয়ালা :- পুরুষদের রুকুতে আঙুল গুলি প্রসস্ত রাখা এবং নারীদের জন্য মিলিয়ে রাখা সুন্নাত।
মাসয়ালা :- রুকু অবস্থায় পায়ের নলাকে সোজা রাখা সুন্নাত।
মাসয়ালা :- পুরুষদের জন্য রুকুতে সম্পূর্ণ ঝুকে পিঠ পাছা ও মাথা কে সমান রাখা সুন্নাত। আর নারীদের জন্য এতটুকু নীচু হওয়া যেন হাটু ছুতে পারেন।
মাসয়ালা :- রুকুতে কম পক্ষে তিন বার “সুবহানা রব্বিয়াল আজীম” বলা সুন্নাত।
মাসয়ালা:- রুকুতে পুরুষদের জন্য দুই হাত পার্শ্বদেশ হতে আলাদা রাখা সুন্নাত।
মাসয়ালা :- রুকু থেকে উঠে ইমামের জন্য “সামি আল্লাহু লিমান হামিদা” বলা এবং মুক্তাদীদের জন্য “রব্বানা লাকাল হামদ” বলা এবং একাকি নামাজির জন্য উভয় বলা সুন্নাত।
মাসয়ালা :- সাজদায় যাওয়ার সময় আল্লাহু আকবার বলা সুন্নাত।
মাসয়ালা :- সাজদায় যাওয়ার সময় প্রথমে হাঁটু তার পর হাত তার পর চেহারা রাখা, আর ওঠার সময় প্রথমে চেহারা তার পর হাত তার পর হাঁটু উঠানো সুন্নাত।
মাসয়ালা :- সাজদায় চেহারা কে দুই হাতে মাঝে রাখা সুন্নাত।
মাসয়ালা :- সাজদায় পুরুষদের জন্য উরু দুটিকে পেট থেকে এবং বাহুদুটি কে পার্শ্বদেশ হতে পৃথক রাখা এবং কনুই কে মাটিতে না রাখা সুন্নাত। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে এর বিপরীত করা সুন্নাত।
মাসয়ালা :- সাজদায় দুহাতের আঙুল গুলি মিলিয়ে রাখা, দুপায়ের আঙুল গুলি কেবলা মুখি রাখা এবং দুইরান কে মিলিয়ে রাখা সুন্নাত।
মাসয়ালা :- সাজদায় কমপক্ষে তিনবার “সুবহানা রব্বিয়াল আ’লা” বলা সুন্নাত।
মাসয়ালা :- সাজদায় থেকে মাথা তুলতে তুলতে তাকবীর বলা সুন্নাত।
মাসয়ালা :- সাজদায় থেকে উঠার সময় হাত দ্বারা মাটিতে ভর না দেওয়া সুন্নাত।
মাসয়ালা :- দুই সাজদার মাঝে সুন্নাত তরিকায় বসা সুন্নাত।
মাসয়ালা :- প্রথম এবং শেষ বৈঠকে পুরুষদের জন্য নিম্নরূপ বসা সুন্নাত।
ডান পায়ের আঙুল গুলি কিবলা মুখি করে পা খাড়া করে দিতে হবে এবং বাম পা বিছিয়ে তার উপর বসতে হবে এবং হাত দুটি রানের উপর রাখতে হবে।
নারীদের জন্য আঙুল গুলির মাথা হাটু সমান থাকবে। আর স্ত্রীলোক দুই পাছার উপর বসে বাম পা কে ডান পায়ের রানের নীচে দিয়ে বার করে দেবে এবং রানের উপর হাত রাখবে।
মাসয়ালা :- আত্তাহিইয়াতু পড়ার সময় “আশহাদু আল্লাইলাহা” বলে শাহাদাত আঙুল তুলে ইশারা করতে হয় এবং ইল্লাল্লাহ বলার সময় নামিয়ে নিতে হয়।
মাসয়ালা :- ফরজ নামাজের প্রথম দুরাকাতের পর প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতেহা পড়া সুন্নাত।
মাসয়ালা :- শেষ বৈঠকে আত্তাহিইয়াতুর পর দরুদ শরীফ পড়া সুন্নাত।
মাসয়ালা :- দরুদ শরীফের পর কোন এমন দোয়া পড়া সুন্নাত যা হাদীস কুরআন থেকে পাওয়া যায়।
মাসয়ালা :- আসসালামু আলাইকুম বলার সময় ডান দিকে ও বাম দিকে মুখ ফিরানো সুন্নাত।
মাসয়ালা :- প্রথম ডান দিকে তার পর বাম দিকে মুখ ফিরানো সুন্নাত।
মাসয়ালা :- ইমাম সাহেবের জন্য জোরে সালাম ফিরানো সুন্নাত।
মাসয়ালা :- দ্বিতীয় সালামের আওয়াজ প্রথম সালাম হতে আস্তে হওয়া সুন্নাত।
মাসয়ালা :- ইমাম সাহেব সালাম দ্বারা মুক্তাদিগণ এবং কিরামান কাতিবীন ফেরেস্তাগণের উদ্দেশ্য করবেন। মুক্তাদিগণ নিজের নামাজের সঙ্গীগণ, কেরামান কাতিবীন এবং ইমাম যে দিকে থাকবেন সে দিকে ইমামের নিয়াত করবেন।
নামাজের মুস্তাহাব সমূহর মাসায়েল
মাসয়ালা :- তাকবীর তাহরীমা বলার সময় পুরুষদের জন্য জামার হাতা অথবা চাদরের ভিতর থেকে হাত বার করা। আর নারীদের না বার করা মুস্তাহাব।
মাসয়ালা :- দাঁড়ানো অবস্থায় সাজদার জায়গায়, রুকুতে পায়ের পিঠের দিকে, সাজদায় নাকের ডগার দিকে, বসে কোলের দিকে এবং সালাম ফিরানোর সময় কাঁধের দিকে নজর রাখা, মুস্তাহাব।
মাসয়ালা :- যতদুর সম্ভব কাশি এবং হাই তোলা কে রুকে রাখা মুস্ত াহাব। হাই উঠার সময় দাঁত দ্বারা ঠোঁট চেপে দেওয়া উচিৎ। নচেৎ নামাজের দাঁড়ানো অবস্থায় মুখে ডান হাতের উল্টো পিঠ রাখা এবং নামাজের অন্য হালাতে (রুকু, সাজদা, বৈঠক) বাম হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে মুখ চাপা মুস্তাহাব।
মাসয়ালা :- ইমামের জন্য “কদকুমতিসসলাহ” বলার পরেই তকবীর বলা মুস্তাহাব। একামতের শেষে তকবীর বললেও দোষ নেই।
মাসয়ালা :- প্রথম এবং শেষ বৈঠকে ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত নির্দিষ্ট তাশাহুদ পড়া মুস্তাহাব।
মাসয়ালা :- যদি ইমাম মেহরাবে থাকেন তাহলে মোক্তাদিগণ হাই ইয়ালাল ফালাহ বলার সময় দাঁড়াবেন। হাই ইয়ালাল ফালাহ বলার সময় দাঁড়ানো মুস্তাহাব।