কোন কথায় ঈমান যায়,
মাসয়ালাঃ- যদি কেউ ঈমানদার হওয়া সম্বন্ধে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে বেঈমান হবে।
যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার কোন নাম, গুণ বা হুকুমের প্রতি বিদ্রূপ করে বা ওয়াদা ও ওয়ীদকে ইনকার করে কিম্বা তার শরীক ও স্ত্রী স্থির করে অথবা তাকে অজ্ঞান অক্ষম বলে প্রচার করে সে ব্যক্তি বেঈমান হবে। কেউ যদি গোনাহের কাজ করার সময় ঠাট্টা করে বলে “আমি মুসলমানী প্রকাশ করছি।” এই কথায় বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- যদি কেউ নিজের স্ত্রীকে বলে তুমি আমার নিকট আল্লাহ অপেক্ষা বেশী প্রিয়, বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- যদি কেউ বিবির সঙ্গে ঝগড়ায় অপারগ হয়ে বলে, আমি তোমার. সঙ্গে কেমন করে পারব, খোদা মেয়েদের কাছে পারে না, বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- যদি কেউ বলে উপরে আল্লাহ, জমিনে তুমি বা অমুক ব্যক্তি অথবা বলে আগে আল্লাহ পাছে তুমি বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- কেউ দুশমন কে বলল আমি আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী কাজ করি, তা শুনে সে ব্যক্তি বলল আমি আল্লাহর হুকুম বুঝি না, অথবা বলল এখানে আল্লাহর হুকুম চলবে না, বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- যদি কেউ অন্যকে বলে তুমি আল্লাহর নাফরমানী করো না, আল্লাহ তোমাকে দোজখে দেবেন। তা শুনে সে বলল আমি দোজখের আজাবের ভয় করিনি, বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- এক ব্যক্তি অন্যকে গোনাহের কাজ করা খোদার ভয় করো না? এই কথা শুনে সে উত্তর দিল “না”, বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- এক জন দারিদ্রতার কবলে পড়ে বলল অমুক লোকটা আল্লাহর বান্দা সে এত ধন সম্পত্তির অধিকারী আর আমি ও তার বান্দা, আমার এত দুঃখ কষ্ট, এটাই কি সুবিচার? বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- যদি কেউ হজরত আবুবকর সিদ্দিক (রাঃ) ও হজরত ওমর (রাঃ) কে গালি দেয়, বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- যদি কেউ হজরতের সঙ্গে দুশমনী রাখে, বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- যদি কেউ কোন সত্য পয়গম্বর কে অস্বীকার করে বা অবহেলা করে কিম্বা হজরত (সঃ) এঁর কোন সুন্নাত কে অবজ্ঞা ভাবে না পছন্দ করে, বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- কোন লোকের লম্বা দাড়ী দেখে যদি কেউ ঠাট্টা ভাবে “সাইন বোর্ড” প্রভৃতি শব্দ ব্যবহার করে, বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- যদি কেউ বলে ঈমান দেলের মধ্যে (অন্তরে), দাড়ীর মধ্যে ঈমান আছে? বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- যে ব্যক্তি নবী (সঃ) কে শেষ নবী বলে বিশ্বাস না করে, বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- যদি কেউ বলে হজরত আদম (আঃ) যদি গন্দুম না খেতেন আমরা হতভাগা হতাম না, বেঈমান হবে।
আসয়ালাঃ- কেউ বলল হুজুর (সঃ) লাউ পছন্দ করতেন। এই কথা শুনে যদি কেউ অবজ্ঞা ভাবে বলে আমি ‘পছন্দ করি না’, বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- যদি কেউ বলে সুন্নাত কি কাজে আসবে অথবা যদি বলে রেখে দাও তোমার সুন্নাত, রেখে দাও তোমার শরিয়াত, বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- কেউ কুরআন শরীফের কোন আয়াত কে অস্বীকার করলে বা ঠাট্টা বিদ্রূপ করলে বা কোন আয়াতের দোষ বার করলে, বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- ঠাট্টা বা কৌতুক ভাবে মানুষের কথার জায়গায় কুরআনের কোন আয়াত উল্লেখ করলে, বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- যদি কেউ বলে হালাল হোক বা হারাম হোক টাকার দরকার, এতে বেঈমান হওয়ার আশঙ্কা আছে।
মাসয়ালাঃ- যদি কেউ হারাম বস্তু জেনে বুঝে সওয়াব পাওয়ার আশায় দান করে আর গরীব তা জেনে তার জন্য দোওয়া করে আর দাতা আমীন আমীন করে সকলে বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- স্পষ্ট হালাল কে হারাম জানলে বা স্পষ্ট হারাম কে হালাল জানলে বা কোন ফরজ কে ফরজ বলে বিশ্বাস না করলে, বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- যদি কেউ হারাম বস্তু খাওয়ার সময় বিসমিল্লাহ বলে সে বেঈমান হবে আর খাওয়ার পরে আলহামদুলিল্লাহ বললে কোন কোন আলেমের মতে বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- কোন পাখিকে আওয়াজ করতে শুনে যদি কেউ বলে এক জন মানুষ মরবে, বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- যদি কেউ ঠাট্টা বিদ্রূপ কৌতুক বা অবজ্ঞা ভাবে মুখ হতে কুফরী কথা বার করে, বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- মুসলিমদের জন্য পূজা পার্বনে শরীক হওয়া ধর্মের দিক দিয়ে নিষেধ, ঈমান যাবে। কবর পূজা করলে ঈমান যাবে।
মাসয়ালাঃ- যদি কেউ বলে এই জামানায় যদি বিশ্বাস ঘাতকতা না করি বা মিথ্যা কথা না বলি, রুজি রুটি জুটবে না, বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- কারো নামে কোন বস্তু জবাহ্ করা জ্বিন ভূত ছেড়ে দেবে মনে করে তাদেরকে কিছু ভেট দেওয়া কুফরী। কোন জায়গাকে কা’বা শরীফের সমতুল্য সমান করা কুফরী।
মাসয়ালাঃ- যদি কেউ বলে আল্লাহ চার জন বিবি হালাল করেছেন কিন্তু আমি এই আদেশকে পছন্দ করিনি, বেঈমান হবে।
মাসয়ালাঃ- কিয়ামাত কে ওঅসশিক্ষার করলে কাফির হবে,।
মাসয়ালাঃ- কোন শিক্ষক, জমিদার বা রাজকীয় কর্মচারী নূতন দিবসের পার্ব্বণী কিম্বা কোন পূজা ইত্যাদি উপলক্ষে চাঁদা চায় আর যদি উক্ত ব্যক্তি সন্তুষ্ট চিত্তে তা দেয় তাহলে সে ব্যক্তি বেঈমান হবে।
(ফাতাওয়ায়ে সিদ্দিকীয়া পৃঃ ৮ – ১৬ হতে উদ্ধৃত)