ঈদের দিনে করনীয় কাজ,

Table of Contents

ঈদের নামাজের মাসায়ে ঈদের দিনে করনীয় কাজ

ঈদের দিনে করনীয় কাজ সুন্নাত:-মুসলিমদের ঈদ দুটি, ঈদুল ফিত্র এবং ঈদুল আদ্বহা। হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, মদীনা বাসীগণ খুশির জন্য বছরে দুটি দিন নির্দিষ্ট করে নিয়েছিলেন।

যখন হুজুর (সঃ) মদীনা আগমন করে জিজ্ঞাসা করলেন, এই দিন দুটি আবার কেমন দিন? সবাই বলল আমরা মুসলমান হওয়ার আগে এই দিন দুটিতে আনন্দ করতাম।

তখন হুজুর (সঃ) বল্লেন আল্লাহ তায়ালা তোমাদের কে এর থেকে ভালো অন্য দুটি দিন প্রদান করেছেন তা হল ঈদুল ফিত্র এবং ঈদুল আদ্বহা

উক্ত ঈদের দিন দুটি ইসলামে আনন্দ ও খুশির দিন হিসাবে নির্দ্ধারণ করা হয়েছে।

ঐ দিনে আনন্দ প্রকাশের উদ্দেশ্যে দুই রাকাত শুকরিয়ার নামাজ পড়া ওয়াজিব।ঈদের দিনে করনীয় কাজ বিস্তারিত । 

মাসয়ালা :- জুময়ার নামাজের সঠিক হওয়া ও ওয়াজিব হওয়ার যে সমস্ত শর্তবলী বর্ণিত হয়েছে তা এখানে ও প্রযোজ্য।

তবে জুময়ার নামাজে খুতবা পাঠ করা শর্ত কিন্তু ঈদের নামাজে শর্ত নয়। জুময়ার নামাজের খুৎবা ফরজ কিন্তু ঈদের নামাজের খুৎবা সুন্নাত।

তবে মনে রাখা দরকার যে জুময়ার খুৎবার ন্যায় ঈদের খুৎবা শোনাও ওয়াজিব।

জুময়ার খুৎবা নামাজের পূর্বে পড়তে হয় কিন্তু ঈদের খুৎবা নামাজের পরে পড়তে হয়।

মাসয়ালা :- খেয়াল রাখা দরকার, যেন অন্য কোন কাজে লিপ্ত হয়ে খুৎবা শোনা হতে বিমুখ না হয়ে যায়।

যেমন- কোন কোন এলাকায় ইমাম খুৎবা দিতে শুরু করলে চাদর রুমাল ইত্যাদি ধরে চাঁদা নেওয়া হয়।

এতে খুৎবা শোনার ওয়াজিব তরক হয়ে যায়।

মাসয়ালা :- ঈদুল ফিৎরের নামাজ কোন ওজর বশতঃ ১ম দিন না পড়তে পারলে ২য় দিন তা পড়া যায়।

কিন্তু বিনা ওজরে ছেড়ে গেলে ২য় দিন তা পড়া যায় না।

এমনই ভাবে ২য় দিন ওজরে অথবা বিনা ওজরে যদি ছেড়ে যায় তা হলে তা ৩য় দিন পড়া যায় না।

মাসয়ালা :- ঈদুল আজহা (বকরা ঈদের) নামাজ ১ম দিন ওজরে অথবা বিনা ওজরে ছেড়ে গেলে ২য় দিন পড়া যায়।

এমনই ভাবে ২য় দিন ওজরে অথবা বিনা ওজরে ছেড়ে গেলে ৩য় দিন পড়া যায়।

ঈদের দিনে করনীয় কাজ না করার ওজরের উদাহরণ

১। কোন কারণ বশতঃ ইমাম সাহেব নামাজ পড়াতে আসেননি এবং উপস্থিত জনতার মধ্যে ইমামতি করার মতও কেউ নেই।

২। প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত, যার দরুন নামাজ পড়া সম্ভব নয়।

৩। চাঁদের তারিখ দৃঢ়তার সহিত জানা যায়নি।

যখন জানা গেছে তখন নামাজের সময় পেরিয়ে গেছে।

৪। মেঘলা দিনে নামাজ পড়া হয়েছে। যখন আকাশ পরিস্কার হয়েছে তখন জানা গেছে যে ভুল সময়ে নামাজ পড়া হয়েছে।

ঈদের দিনে করনীয় কাজ

১। সকালে মেছওয়াক করা। 

(২) গোসল করা

 (৩) সুগন্ধি ব্যবহার করা

৪) উৎকৃষ্ট পোষাক পরিধান করা। 

 (৫) ঈদুল ফিৎরে যদি ফিত্রা ওয়াজিব হয় তাহলে বাড়ী থেকে বার হওয়ার আগে তা আদায় করা

 (৬) ঈদুল ফিরের সকালে কিছু মিষ্টি দ্রব্য খাওয়া মুস্তাহাব কিন্তু বকরা ঈদে নামাজের পরে খাওয়া মুস্তাহাব। তবে এই নামাজের পূর্বে কিছু খেয়ে ফেললেও কোন অসুবিধা নেই।

 (৭) ঈদুল ফিৎরের নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে চুপি চুপি তকবীরে তাশরীক পড়তে হয় এবং ঈদুল আদ্বহার রাস্তায় উচ্চস্বরে পড়তে হয়।

তকবীরে তাশরীক

আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল লাহু আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার অলিল্লাহিল হামিদ। 

ঈদের নামাজের মাসায়েল ও সুন্নাত

মাসয়ালা :- ঈদের নামাজের পূর্বে অথবা পরে ঈদগাহে কোন নফল নামাজ পড়তে নেই।

হ্যাঁ নামাজের পর বাড়ী গিয়ে কোন নফল নামাজ পড়তে কোন অসুবিধা নেই।

মাসয়ালা :- ঈদের নামাজ ময়দানে পড়তে যাওয়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।

মাসয়ালা :- ঈদের নামাজে ছয় তাকবীর পড়া ওয়াজিব।

মাসয়ালা :- যদি ইমাম সাহেব তাকবীর ভুলে রুকুতে চলে যান তাহলে রুকু থেকে না উঠে রুকুতেই উক্ত তাকবীর পড়ে নেবেন।

তবে এমতাবস্থায় তাকবীর বলার সময় হাত উঠাবেন না। আর যদি রুকু থেকে উঠে যান তাও অসুবিধা নেই।

মাসয়ালা :- যদি কেউ ইমাম সাহেবের তাকবীর বলার পর নামাজে শরীক হন তাহলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে নিয়ত বেধে তাকবীর পড়ে নেবেন।

যদি ও ইমাম কেরাত শুরু করে থাকেন।

মাসয়ালা :- যদি কেউ ইমাম কে রুকু অবস্থায় পান তাহলে তার সমোধিক ধারনা এই হয় যে নিয়ত করে রুকতে গিয়ে ইমাম কে পেয়ে যাবে তাহলে তাই করবেন।

আর যদি কয়েক তাকবীর পড়ার পর যদি ইমাম উঠে পড়েন তাহলে তিনিও ইমামের সহিত উঠে পড়বেন আর অবশিষ্ট তকবীর গুলি তার উপর হতে রহিত হয়ে যাবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top