Table of Contents
রোজা কাকে বলা হয়।
রোজা কাকে বলা হয়? রোজা ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের মধ্যে একটি স্তম্ভ। সুবহে সাদিক হতে সূর্য্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত রোজার নিয়াতে পানাহার ও স্ত্রী সহবাস হতে বিরত থাকার নাম রোজা।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন শরীফে বলেন।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ
قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
অর্থাৎ হে বিশ্বাসী বান্দাগণ পূর্ববর্তী উম্মতদের ন্যায় তোমাদের উপর ও রোজা ফরজ করা হল যাতে তোমরা খোদা ভীরু ও মুত্তাকী হয়ে যাও। কুরআন পাকের অন্য আয়াতে বলা হয়েছে-
فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمُهُ
অর্থাৎ তোমাদের মধ্যে যে কেউ রমজান মাসে উপস্থিত থাকবে সে যেন রোজা রাখে।
মুসলিম শরীফে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ হতে বর্ণিত আছে-
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ مَنْ صَامَ رَمَضَانَ مِنْ أَوَّلِهِ إِلَى آخِرِهِ خَرَجَ مِنْ
ذُنُوبِهِ كَيَوْمٍ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ
অর্থাৎ হুজুর (সঃ) বলেন যে ব্যক্তি রমজানের শুরু হতে শেষ পর্যন্ত রোজা রাখেন তিনি গোনাহ হতে ঐ দিনের মত পাক হয়ে যান, যে দিন তার মা তাকে জন্ম দিয়েছিল।
সন্দেহের দিনে রোজা
মাসয়ালা :- যদি কেউ সন্দেহের কারণে ৩০শে শাবানে ১ম রমজান মনে করে রোজা রাখে তাহলে তার রোজা রাখা মাকরূহ তাহরিমী হবে।
وَكَرِهَ فِيْهِ أَي فِي يَوْمِ الشَّكِ كُلُّ صَوْمِ إِلَّا نَقْلِ جَزَمَ بِهِ بِلَا تَرْدِيدٍ بَيْنَهُ وَبَيْنَ صَوْمِ اَخَرَهُ وَبَيْنَ صَوْمِ اَخَرَهُ. إِن ظَهَرَ أَنَّهُ مِنْ رَمْضَانَ أَجْرًا عَنْهُ أَى عَنْ رَمَضَانَ مَا صَامَهُ بَأَيِّ نِيَّةٍ كَانت الخ (مراقي الفلاح صلاة)
অর্থাৎ সন্দেহের দিনে সমস্ত রোজা রাখা মাকরূহ কিন্তু ঐ নফল রোজা যার প্রতি পূর্ণ দৃঢ়তা আছে এবং নফল রোজা ও অন্য রোজা হওয়ার মধ্যে সন্দেহ না থাকে তাহলে তা জায়েজ হবে। যদি পরে জানে যে ঐ দিন রজমানের ১ম তারিখ ছিল তাহলে সে যে নিয়াতে হোক না কেন রমজানেরই রোজা হবে।রোজা কাকে বলা হয় তা বুজলেন ,
রোজার-কাজা এবং কাফ্ফারার মাসায়েল
মাসয়ালা :- পূর্বে বলা হয়েছে যে, রমজান শরীফের রোজা ফরজ। যদি কেউ কোন কারণ বশতঃ না করতে পারেন তাহলে পরে তার কাজা করে দিতে হবে। অর্থাৎ কারণ বশতঃ একটি রোজা ভঙ্গ হলে একটি রোজা কাজা করবে বা যে কটি রোজা ভঙ্গ হয়েছে তার পরিবর্তে একটা করে রোজা করতে হবে।
কিন্তু যদি কেউ বিনা কারণে ইচ্ছাকৃত রোজা ভঙ্গ করে তাহলে কেবল কাজা করলেই যথেষ্ট হবে না বরং একটার বদলে একটা কাজা এবং ইচ্ছাকৃত ভঙ্গের কারণে কাফ্ফারাও ওয়াজিব হবে। প্রথমে কাজা রোজা রাখবেন তার পর কাফ্ফারা আদায় করবেন। ব্যতিক্রমও জায়েজ আছে।
রোজার কাফফারা:–
- একটা গোলাম আজাদ করতে হবে। যদি ক্ষমতা না থাকে অর্থাভাবে হোক বা সে দেশে গোলাম না পাওয়া যাওয়ার কারণে হোক যদি সম্ভবনা হয় তাহলে
- পরপর ষাট টি রোজা রাখতে হবে। যদি সম্ভব না হয় তাহলে
- ষাট জন মিসকীন কে খাওয়াতে হবে। প্রকাশ থাকে তিনটি জিনিসের মধ্যে যে কোন একটি ঐচ্ছিক নয় বরং প্রথমটি না পারলে দ্বিতীয়টি এবং দ্বিতীয়টি না পারলে তৃতীয়টি আদায় করতে হবে।
মাসয়ালা:- যদি কেউ কাফ্ফারার রোজা রাখতে রাখতে মাঝে একদিন না রাখেন তাহলে আবার নুতন ভাবে শুরু করে ঘাটটা রোজা পূরণ
করতে হবে। মাসয়ালা:- স্ত্রীলোক কাফ্ফারার রোজা করতে করতে হায়েজ এসে গেলে হায়েজের দিন গুলো রোজা বন্ধ রেখে তার পর থেকে রোজা রাখবেন।
মাসয়ালা:- যদি কারো দ্বারা তিনটিই সম্ভব হয় তাহলে তিনটির মধ্যে তার জন্য যেটা বেশী কষ্ট কর সেটা করতে নির্দেশ দিতে হবে। বাহরু ররাইক কিতাবে আছে। যদি কোন বাদশা বা ধনী লোকের উপর কাফ্ফারা ওয়াজিব হয় তাহলে শিক্ষার উদ্দেশ্যে তাকে মিসকিনদের খানা খাওয়ানোর নির্দেশ না দেওয়া উচিৎ।
মান্নত রোজার মাসায়েল
মান্নত অর্থাৎ আল্লাহর ওয়াস্তে কোন এবাদাত নিজের উপর জরুরী করে নেওয়া। মান্নত পূরণ করা ওয়াজিব, পূরণ না করলে গোনাহগার হবেন। মান্নত দুই প্রকার-নির্দিষ্ট ও অনির্দিষ্ট।
অনির্দিষ্ট:- যেমন কেউ বলল হে আল্লাহ যদি আমার অমুক কাজ হয়ে যায় তাহলে আমি তোমার জন্য একটা রোজা রাখব।
নির্দিষ্ট:- যেমন কেউ বলল হে আল্লাহ যদি আমার অমুক কাজ হয়ে যায় তাহলে অমুক দিন তোমার জন্য আমি একটা রোজা রাখব।
মাসয়ালা:- যদি কেউ রোজার মান্নত করে তাহলে ঐ রোজা তার উপর আদায় করা ওয়াজিব হবে।
মাসয়ালা:- যদি কেউ নির্দিষ্ট মান্নত করে তাহলে ঐ দিনেই রোজা রাখতে হবে তানাহলে ঐ রোজা অন্য দিনে কাজা করে দিতে হবে।
মাসয়ালা :- যদি কেউ অনির্দিষ্ট মান্নত করে তাহলে যে কোন দিন রোজা রাখলে চলবে।
সুন্নাত রোজা:- যেমন আশুরার রোজা ইত্যাদি।
নফল রোজা:– যেমন রোজার ঈদের পর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজারাখা, সারা বছর একদিন ছেড়ে একদিন রোজা রাখা। ইত্যাদি।
হারাম রোজা :- বছরে মোট ৫দিন রোজা রাখা হারাম। যেমন-দুই ঈদের দিন ও বকরা ঈদের পরের ৩দিন।
মাকরূহ তাঞ্জিহী রোজা :- যেমন মাঝে একদিন না ছেড়ে ধারাবাহিক সারা বছর রোজা রাখা, চুপ থাকার রোজা করা ইত্যাদি।
রোজা ভঙ্গের মাসায়েল
পূর্বে বির্ণত হয়েছে যে, খাওয়া পানকরা ও স্ত্রী সহবাস হতে বিরত থাকা রোজার মধ্যে ফরজ। অতএব এই তিনটির মধ্যে কোন একটি পাওয়া গেলেই রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়।
এমন কিছু কারণ যাতে কেবল কাজা ওয়াজিব হয়
মাসয়ালা :- কোন খাদ্য দ্রব্য বা ঔষধ জাত কোন দ্রব্য যা শারীরিক উপকারী, এমন বস্তু পেটে প্রবেশ করলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
মাসয়ালা :- যদি এমন বস্তু পেটে প্রবেশ করে বা স্বেচ্ছায় প্রবেশ করানো হয় যা শরীরিক উপকারী নয় তাহলে কাজা ওয়াজিব হবে কিন্তু কাফফারা ওয়াজিব হবে না।
মাসয়ালা :- এমন বস্তু যা মানুষের খাওয়া অথবা ঔষধ জাতীয় কাজে লাগে, অনিচ্ছায় যদি পেটে পৌঁছে যায়, রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
মাসয়ালা :- এক ফোটা পানি অথবা বরফের টুকরো যদি হলক থেকে নীচে নেমে যায় তাহলে তার রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
মাসয়ালা :- নাক অথবা কানে তেল দিলে এবং তা পেট অথবা মস্তিস্কে পৌঁছে গেলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। ঔষধ লাগালে যদি পেটে অথবা মস্তকে পৌঁছে যায় তাহলে তার রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
মাসয়ালা :- যদি কোন রোজাদার কে জবরদস্তি করে কিছু খাইয়ে দেওয়া হয় তাহলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
মাসয়ালা :- যদি কেউ সূর্য্য অস্ত গিয়েছে মনে করে ইফতার করে ফেলেন বা রাত বাকী আছে মনে করে সেহরী খান তাহলে কেবল কাজা ওয়াজিব হবে।
মাসয়ালা :- সমোধিক ধারনা ছিল যে এখন ও রাত বাকী আছে কিন্তু খাওয়ার পর তার ধারনা ভুল সাব্যস্ত হলে কাজা ওয়াজিব হবে।
মাসয়ালা :- সমোধিক ধারনা যে, সূর্য্য অস্ত গিয়েছে এবং ইফতার করে নিলেন পরে ধারনা ভুল সাব্যস্ত হলে কাজা ওয়াজিব হবে।
মাসয়ালা :- সূর্য্য অস্ত যাওয়ার সন্দেহ ছিল তাসত্বেও ইফতার করে নিলেন পরবর্তিতে সঠিক বেঠিক হওয়া কিছুই জানা গেলনা কাজা ওয়াজিব হবে।
মাসয়ালা:- যদি কেউ নিয়াত না করেন অথবা অর্দ্ধ দিবসের পরে নিয়াত করেন তাহলে তার রোজা ভঙ্গ হবে।
মাসয়ালা :- কেউ অর্দ্ধ দিবসের পূর্বে রোজার নিয়াত করে কিছু খেয়ে ফেললেন তার রোজা ভঙ্গ হবে।
মাসয়ালা :- যদি কেউ খাদ্য অথবা ঔষধ রূপে উপকার বিহিন বস্তু পেটে প্রবেশ করিয়ে দেন, রোজা ভঙ্গ হবে।
মাসয়ালা :- এমন বস্তু যা খেতে কেউ বা ঘৃণা করে আবার কেউ ঘৃণা করে না। যদি ঘৃণা কারী ব্যক্তি খায় তাহলে কাজা ওয়াজিব হবে আর যার ঘৃণা হয় না এমন ব্যক্তি খেলে কাজা কাফফারা দুটাই জরুরী হবে। (রদ্দুল মুহতার)
মাসয়ালা :- কারো মুখে অশ্রু অথবা ঘাম চলে যায় এবং তা সারা মুখ ময় হয়ে যায়, যদি সে খেয়ে ফেলে তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে।
মাসয়ালা :- যদি কারো স্ত্রী আলিঙ্গনে বীর্যপাত হয়ে যায় তাহলে তার রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
মাসয়ালা :- যদি কেউ রঙ্গীন সুতো পাকানোর উদ্দেশ্যে মুখে দেয় এবং তার রং জীবে এসে যায় তাহলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার)
মাসয়ালা:- দাঁতের ফাঁকে থেকে ছোলা পরিমান কোন খাদ্য বস্তু বার করে খেয়ে ফেললে রোজা ভঙ্গ হবে।
মাসয়ালা :- যদি মুখ ভরা বমির কিছু অংশ গিলে ফেলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
মাসয়ালা :- রমজান শরীফের রোজা ছাড়া অন্য যে কোন রোজা ইচ্ছাকৃত ভেঙ্গে ফেললে বা কোন কারণ বশত ভেঙ্গে গেলে তাতে কেবল কাজা ওয়াজিব হবে কাফফারা ওয়াজিব হবে না।
এমন কিছু কারণ যাতে কাজা কাফ্ফারা উভয় জরুরী
মাসয়ালা:- রমজান মাসে সুবহে সাদিকের পূর্বে নিয়াত করে রোজা রেখে
ইচ্ছাকৃত মুখ দ্বারা এমন বস্তু পেটে প্রবেশ করালে যা মানুষের খাদ্য বা ঔষধ রূপে ব্যবহার হয় এবং সুস্থ মস্তিস্কের মানুষ তা ব্যবহার করতে ঘৃণা করে না, রোজা ভঙ্গ হবে এবং কাজা ও কাফ্ফারা উভয় ওয়াজিব হবে।
(রদ্দুল মুহতার)
মাসয়ালা:- যদি কেউ রমজানের রোজা অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করেন তাহলে কাজা কাফফরা উভয় ওয়াজিব হবে। (রদ্দুল মুহতার)
মাসয়ালা:- রোজা ভঙ্গ না হওয়ার কাজ করে নিজ খেয়ালে রোজা ভঙ্গ হয়েছে মনে করে ইচ্ছাকৃত কোন জিনিস খেয়ে ফেললে তার রোজা ভঙ্গ হবে। এবং তার উপর কাজা কাফ্ফারা উভয় জরুরী হবে।
রোজা ভঙ্গ না হওয়ার মাসায়েল
যে সমস্ত কারণে রোজা ভঙ্গ হয় না তা দু প্রকার
(১) রোজা ভঙ্গ হয় না এবং মাকরূহও হয় না। (২) রোজা ভঙ্গ হয় না কিন্তু মাকরূহ হয়।
মাসয়ালা :- ফরজ বা নফল রোজার নিয়াত করার পর ভুল করে কিছু পানাহার করে ফেললে রোজা ভঙ্গ বা মাকরূহ হবে না।
মাসয়ালা:- মাথা অথবা শরীরে তেল লাগালে, সুরমা লাগালে রোজা ভঙ্গ হয় না। (দুঃ মুখতার ২/৯৮)
মাসয়ালা :- স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভঙ্গ হয় না।
মাসয়ালা :- কোন দুশ্চিন্তা হলে বা কোন নারীর প্রতি দৃষ্টি পাত করলে যদি বীর্যপাত হয়ে যায়, রোজা ভঙ্গ হবে না। (বাহরুরাইক, দুঃ মুখতার ২/৯৮). মাসয়ালা :- স্ত্রীসহবাস ছাড়া অন্য পন্থা অবলম্বন করা যাতে সাধারণত বীর্যপাত হয়ে যায়। যদি বীর্যপাত না হয় রোজা ভঙ্গ হবে না। হলে ভঙ্গ হয়ে যাবে।
মাসয়ালা :- কানে পানি প্রবেশ করলে বা ইচ্ছাকৃত প্রবেশ করালে রোজা ভঙ্গ হয় না। কিন্তু যদি কানে তেল দেওয়া হয় তাহলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। (দুরে মুখতার ২/৯৮ ও হেদায়া ১ম খণ্ড, পৃঃ ২০২)
মাসয়ালা:- ছোলা পরিমান হতে ছোট কোন বস্তু দাঁতের ফাঁক থেকে বার করে গিলে নিলে রোজা ভঙ্গ হবে না। (দুরে মুখতার ২/৯৮)
মাসয়ালা :- অনিচ্ছায় বমন হওয়া। মুখ ভরে হোক বা কম হোক রোজা ভঙ্গ হবে না।
মাসয়ালা :- নাকে বা গলায় কফ এলে এবং তা টেনে গিলে ফেললে, রোজা ভঙ্গ হবে না।
মাসয়ালা :- ইচ্ছাকৃত বমন মুখ ভরা থেকে কম হলে বা উক্ত বমন আনিচ্ছায় হলক পেরিয়ে গেলে রোজা ভঙ্গ হবে না।
মাসয়ালা :- কোন বাষ্পবিহিন সুগন্ধি শুকলে রোজা ভঙ্গ হবে না।
মাসয়ালা :- জাওয়ালের আগে বা পরে কাঁচা অথবা শুকনো মিসওয়াক করলে রোজা ভঙ্গ হবে না।
মাসয়ালা :- গরম লাগার কারণে কুলি করলে, নাকে পানি দিলে, মুখমণ্ডলে পানি ছিটালে, গোসল করলে বা কাপড় ভিজিয়ে গায়ে দিলে রোজা ভঙ্গ হবে না। (দুরে মুখতার)
মাসয়ালা :- আল্লামা ইবনে আবিদীন শামী রদ্দু মুহতার কিতাবে ২য় খণ্ডে
الظَّاهِرُ أَنَّ الْكَرَاهَةَ فِي هَذِهِ الأَشْيَاء تَنزِيهِيَّة درد অর্থাৎ নিম্নে বর্ণিত কারণ সমূহে রোজা মাকরূহ তাঞ্জিহী হয়। যথা- কোন জিনিসের স্বাদ চাখা, কোন জিনিস বিনা কারণে চিবানো তবে যদি এ সমস্ত কাজ কোন ওজরে হয় তাহলে মাকরূহ হবে না।
মাসয়ালা :- যদি কারো স্বামী খুব রাগী বদমেজাজি হয়, খাবার একটু উল্টো পাল্টা হলে মারধর করে তাহলে যদি রান্নার সময় জিহ্বার আগায় একটু চেখে নেয় তাহলে মাকরূহ হবে না।
মাসয়ালা :- রোজা অবস্থায় শরীরে দুর্বলতা সৃষ্টিকারী কাজ করা যার পরিনামে রোজা ভঙ্গ করতে হয়, মাকরূহ হবে.রোজা কাকে বলা হয়। তা বুজলেন।রোজা কাকে বলা হয়।রোজা কাকে বলা হয়।পোস্ট টা কেমন লাগলো রোজা কাকে বলা হয়। শেয়ার করবেন ।
রোজা কাকে বলা হয় ,রোজা ৪ প্রকার:-
ফরজ রোজা কাকে বলা হয়:–রমজান মাসের রোজা। ফরজ রোজার নিয়াত উক্ত দিন দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত করা যায়। কোন ওজরে ভঙ্গ হয়ে গেলে এর কাজা করা ফরজ। ইচ্ছাকৃত বিনা ওজরে ভঙ্গ করলে কাজা এবং কাফফারা উভয়ই আদায় করা ওয়াজিব। কাজা এবং কাফফারা আদায়ের রোজার নিয়াত সুবহে ছাদেকের পূর্বে করতে হয়।
ওয়াজিব রোজা কাকে বলা হয়:-যেমন মান্নত রোজা – মান্নত যদি শর্ত ছাড়া হয় অর্থাৎ বিনা কোন শর্তে আল্লাহর নামে মান্নত করলে তা পূরণ করা ওয়াজিব আর যদি কোন শর্ত থাকে যেমন- আমার অমুক কাজ পূর্ণ হয়ে গেলে আমি একটা রোজা রাখব। তাহলে শর্ত পূরণ হলে রোজা রাখা ওয়াজিব। শর্ত পূরণ না হলে রোজা রাখা ওয়াজিব নয়। অনির্দিষ্ট দিনে
মান্নত হলে নিয়াত সুবহে সাদিকের পূর্বে করতে হয়। আর নির্দিষ্ট দিনে মান্নত হলে দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত করা যায়।
সুন্নত রোজা কাকে বলা হয়ঃ-বিশ্ব নাবী হজরত মোহাম্মাদ (সঃ) যে সস্তহ দিনে রোজা রাখতেন , এবং রাখতে বলেছেন ,সেই দিনে রোজা রাখা সুন্নাত।
সুন্নাত রোজা:- যেমন আশুরার রোজা ইত্যাদি।
নফল রোজা কাকে বলা হয়:- যেমন- শবে বরাত, শবে মেরাজ, আশুরার রোজা, আইয়ামে বীজ অর্থাৎ প্রত্যেক আরবী মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোজা এবং শওয়ালের ছটি রোজা রাখা। নফল ও সুন্নাত বলে ধরা হয়,রোজার নিয়াত বেলা দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত করা চলে। সারা বছর নিষিদ্ধ দিন গুলি ছাড়া এই রোজা রাখা নফল ।নফল রোজা:– যেমন রোজার ঈদের পর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজারাখা,