মোজেজা- যা কোন নবী বা রসুল (আঃ) এর মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
কারামাত- যা কোন ওলীর মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
মাউনাত- যা কোন সাধারণ মুসলমান মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
ইস্তেদরাজ- যা কোন কাফির, মোশরেক, বেদ্বীন যোগী মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদা
لله। আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্ত্ব সত্য। তাঁর অস্তিত্ত্ব সম্পর্কে কোন প্রকার তুলনা সামঞ্জস্য সময়, স্থান, বস্তু, শরীর, হরকত, তন্দ্রা, নিদ্রা, আহার, শ্রম ক্লান্তি, ইত্যাদি ধারনা করা যাবেনা, এ সকল বিষয়াদি হতে তিনি পবিত্র তাঁর স্বত্ত্বা তিনি যেমন তেমনই। এই বিশ্বাস রাখা অপরিহার্য্য
اَللهُ نُوُرُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ আল্লাহ তায়ালা আকাশ ও পৃথিবীর উজ্জ্বল জ্যোতি প্রদান কারী।
وَاحِدٌ ওয়াহিদুন অর্থ- একক, সৃষ্টিকর্তা তিনি একক ভাবেই।
তিনি যেমন ইচ্ছা সৃষ্টি করেছেন সমগ্র সৃষ্টি জগৎ কে। তাঁর সৃষ্টিতে কোন প্রকার ত্রুটি নেই। কোন ত্রুটি আমরা মনে করলে সেটা আমাদের জ্ঞানের সংকীর্ণতা ছাড়া কিছুই নয়। যেমন তিনি জানিয়েছেন। a fans لَوْ كَانَ فِيهِمَا آلِهَةٌ إِلَّا اللَّهُ لَفَسَدَتَا ছাড়া দ্বিতীয় কোন উপাস্য থাকত তাহলে অবশ্যই তাদের মধ্যে বিবাদ দেখা যেত, অর্থাৎ বিবাদ নেই, দ্বিতীয় কোন উপাস্যও নেই।
আল্লাহ তায়ালা এক এবং অদ্বিতীয়। তিনি কারও মুখাপেক্ষী নন, তাঁর কোন সন্তানাদি নেই এবং তিনিও কারও সন্তান নন, তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।
সৃষ্টি জীবের সকল গুনাবলী থেকে তিনি পবিত্র, তাঁর কোন উপমা নেই।
قَدِيمٌ কাদীমঃ- অর্থাৎ তিনিই সর্ব প্রথম যার পূর্বে কোন কিছু নেই
এবং তিনিই সর্বশেষ যার সমাপ্তি নেই। অনাদী অনন্ত ও অসীম। এসকল বিষয়ের স্রষ্টা একমাত্র তিনি।
الْحَيُّ আল হাইয়ুঃ- অর্থাৎ চিরজীবি, যার মি-ত্যু নেই। তন্দ্রাও
নিদ্রা তাকে স্পর্শ করতে পারেনা, এসকল তাঁরই সৃষ্টি।
الْقَادِرُ আল কুদিরুঃ- অর্থাৎ তিনি মহা শক্তিশালী। যত শক্তিশালী
ক্ষমতা হোকনা কেন তার সমকক্ষ তো দূরের কথা তার সামান্যতম শক্তির ও যোগ্য নয়।
শুধু মাত্র তাঁর ইচ্ছা ও আদেশের অপেক্ষা। তিনি যখন ইচ্ছ
করেন ও আদেশ দেন মুহূর্তের মধ্যে তা হয়ে যায়। যেমন তিনি বলেছেন إذا أَرَادَ شَيْئًا أَنْ يَقُولَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ ইচ্ছা করেন তখন “কুন” শব্দ বলেন, ততক্ষণাৎ তা হয়ে যায়।
الْعَلِيمُ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ অর্থৎ তিনি জ্ঞানি, শ্রবণকারী ও দর্শনকারী।তাঁর জ্ঞান,শ্রবণ ও দর্শন কোন সৃষ্টির ঐ সকল ইন্দ্রিয়ের মত নয়।
দিষ্টি ইন্দ্রিয় সীমাবদ্ধ। আল্লাহ তায়ালার ঐ সকল ক্ষমতা সীমাবদ্ধ নয়, দূর্বল নয়।
নিকটে ও দূরে অন্ধকার ও আলোকে প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে সর্বত্র তাঁর এ সকল ক্ষমতা অতি প্রখর ও সমান।
কখনো তিনি ছিলেন না অথবা ছিলেন কিন্তু বহুদিন অতিবাহিত হওয়ার ফলে কোন প্রকার দূর্বলতা তাঁর মধ্যে স্পর্শ করতে পারে এমন নয়।
অর্থাৎ তিনি যেমন তেমনই আছেন ও সর্বদা তেমনই থাকবেন।
কোন কিছু তাঁর জ্ঞান ও ক্ষমতা হতে বাইরে নয়। অর্থাৎ যা কিছু ঘটেছে এবং ঘটবে সবকিছুই তাঁর ইলম বা জ্ঞানের মধ্যে তাঁর জ্ঞান ও ক্ষমতায় কারো প্রাধান্য নেই।
পৃথিবীর সকল ঘটনা সম্পর্কে আল্লাহ পাক অবগত আছেন। স্বীয় জ্ঞান থেকে সে গুলো সৃষ্টি করেছেন।
অপ্রিয় বস্তু সৃষ্টির মধ্যে অনেক ভেদ আছে, তা সকলে বুঝতে পারেনা।
وَلَهُ صَفَاتٌ অর্থাৎ- আল্লাহ তায়ালা যেমন তার জাত পাকের
উপর বিরাজমান তেমনই তিনি তাঁর সিফাত বা গুন বাচক নাম সমূহের প্রতি ও বিরাজমান, তাঁর সিফাত তাঁর জাত পাকের সহিত সম্পৃক্ত।
অর্থাৎ তাঁর সিফাত বা গুন বাচক নাম সমূহ পূর্বে ছিল না এখন আছে ও পরে থাকবেনা এমন নয়, যেমন তিনি তাঁর সৃষ্টি জগৎ কে সৃষ্টি করেছেন-তাদের লালন পালন করে চলেছেন।
সকল সৃষ্টি তাঁর আয়ত্ত্বাধীনে, তিনি কারো অধীনে নন। সকল গুন বাচক নামের প্রতিও তিনি তেমনই প্রভাবশালী।
যা কোন প্রকার তুলনা করা যায় না এবং চিরস্থায়ী।
আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদা
وَاللهُ تَعَالَى مُتَكَلِّمُ بِهَا امِرٌ وَنَاهِ وَمُخْبِرٌ
অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার কথাবলা একটি গুন বাচক নাম, এই কথা বান্দার প্রতি আদেশ নিষেধ ও সংবাদ বিশেষ।
আল্লাহ পাক মানুষ কে মানুষের সাধ্যানুযায়ী হুকুম করে থাকেন।
আল্লাহ তায়ালা তাঁর অশেষ মেহের বানীতে আমাদের কল্যান সাধন করেন তিনি কোন কাজ করতে বাধ্য নন।
وَالْقُرْآنُ كَلَامُ اللَّهِ تَعَالَى غَيْرُ مَخْلُوقٍ
অর্থাৎ কুরআন-আল্লাহ তায়ালার কালাম বা কথা, মাখলুক নয় অর্থাৎ ধ্বংসশীল নয়। যা আমাদের কাছে পুস্তাকাকারে লিপিবদ্ধ।
আমাদের অম্ল রে সংরক্ষিত এবং আমাদের জবানে পঠিত ও আমাদের কর্ণে শ্রুত। কুরআন শরীফ ও হাদিস শরীফের মর্ম বিকৃতি করা বেদ্বীনি কাজ।
اللَّهُ خَالِقٌ لِأَفْعَالِ الْعِبَادِ অর্থৎ আল্লাহ তায়ালা বান্দার সমূহ কাজের সৃষ্টি কর্তা। কাফেরী, ঈমানী ও নাফারমানী।
বান্দা ভাল, মন্দ যে কাজই করুক না কেন তা আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি করা। আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি করার জন্যই বান্দা ভাল বা মন্দ হয়নি।
আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে সৃষ্টি করায় বান্দার অবস্থা তিনি জানেন বলেই তাদের ইচ্ছার কাজ কে আল্লাহ সৃষ্টি করেন।
وَلِلْعِبَادِ أَفْعَالُ إِخْتِيَارِيَّةٌ অর্থাৎ বান্দার সমূহ কাজের স্বাধীনতা আছে। বান্দা জড় বস্তুর মত নয়।
স্বেচ্ছায় ভাল কাজ করতে পারে। ভাল কাজ করলে ছওয়াব পাবে।
স্বেচ্ছায় মন্দ কাজ ও করতে পারে। মন্দ কাজ করলে শাস্তি পাবে।
وَالإِسْتِطَاعَةُ مَعَ الْفِعْلِ অর্থাৎ কাজের সঙ্গে ক্ষমতা দান করা।
আল্লাহ তায়ালা প্রাণী সমূহের মধ্যে একটি বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছেন যার দ্বারা তারা কাজকর্ম করতে সক্ষম হয়।
কাজের জন্য এটি একটি উপকরণ মাত্র। কোন কিছু করার ইচ্ছার সময়ে আল্লাহ তায়ালা তা দান করেন।
যদি কেউ ভাল কাজ করার ইচ্ছা করেন আল্লাহ তায়ালা তাঁকে ভাল কাজ করার ‘ক্ষমতা সৃষ্টি করে দেন।
তিনি তখন প্রশংসা ও সওয়াবের হকদার হয়ে যান। আর যদি কেউ খারাপ কাজ করার ইচ্ছা করেন,
তখন ও আল্লাহ তায়ালা তাঁর ক্ষমতা সৃষ্টি করে দেন তখন তিনি ভাল কাজের ক্ষমতাটা
বিনষ্টকারী হয়ে যান আর দূর্নাম ও শাস্তির হক দার হয়ে যান।
وَالْمَقْتُولُ مَيِّتُ بِأَجَلِهِ সময়ে মৃত্যু বরণ করেন। হত্যা করার জন্য তাঁর জীবনের শেষ নয়।
হত্যা করার জন্য হত্যাকারী দায়ী হবে।
يا وَالْمَوْتُ قَائِمٌ بِالْمَيِّتِ مَخْلُوقُ اللَّهِ تَعَالَى স্থায়ী, এটা আল্লাহর সৃষ্টি, বান্দার তৈরী নয় এবং বান্দার উপার্জন করা নয়।আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদা- আল্লাহ জীবন ও মৃত্যুকে সৃষ্টি করেছেন।
وَالْحَرَامُ رِزْقٌ হারাম রুজী হয়। রুজী একটি নাম বিশেষ।
যা আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক প্রাণীর জন্য নির্দ্ধারীত রেখেছেন। তা কখনো হালাল হয় আবার কখনো হারাম হয়।
অর্থাৎ মূল খাদ্য একটি বস্তু মাত্র। তা উপার্জনের পন্থা বৈধ হলে হালাল আর তার পন্থা অবৈধ হলে তা হারাম রুজী হিসাবে চিহ্নিত হয়।
এই পন্থা অবলম্বনের জন্য বান্দা সওয়াব ও আজাবের হকদার হবেন।
وَاللهُ تَعَالَى يُضِلُّ مَنْ يَّشَاءُ وَيَهْدِي مَنْ يَشَاءُ
বান্দাদের যাকে ইচ্ছা গোমরাহ করেন এবং যাকে ইচ্ছা পথ দেখান।
তাঁর ইচ্ছা করার জন্য মানুষ হেদায়াত প্রাপ্ত ও পথ ভ্রষ্ট হয়না বরং মানুষের চলার শেষ পরিনতি অবগত হওয়ার জন্য তিনি তাঁর ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছেন।
মানুষ যে-যে পথে চলতে চায় তিনি তাকে সে পথে চলার ক্ষমতা দেন মাত্র।আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদা।
وَعَذَابُ الْقَبْرِ لِلْكَافِرِينَ وَلِبَعْضِ عُصَاةِ الْمُؤْمِنِينَ অবিশ্বাসীদের জন্য ও কিছু গোনাহগার বিশ্বাসী বান্দাদের জন্য কবরের আজাব (কিয়ামতের আজাব) অবধারিত ও অনুগত বিশ্বাসী বান্দাদের জন্য শান্তি (প্রতিদান) অবধারিত।আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদা ।
কবরঃ- মৃত্যুর পর হতে কেয়ামতের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সময়কে কবর বলে।
سُوَالُ مُنْكَرِ وَنَكِيْرٍ মুনকার ও নাকীর দু জন ফেরেস্তা তাঁরা কবরে প্রবেশ করবেন। অতঃপর তাঁরা বান্দাকে জিজ্ঞাসা করবেন তার রব, দ্বীন ও নবী সম্পর্কে।আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদা।
وَالْبَعْتُ حَقٌّ অর্থাৎ পুনরুত্থান সত্য। আল্লাহ তায়ালা মৃতকে স্বশরীরে পুনরুত্থান করবেন। তাদের শরীরে আরওয়াহ (আত্মা সমূহ) পাঠাবেন।আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদ।
وَالْوَزْنُ حَقٌّ কিয়ামতের দিনে নেকি বদী ওজন হওয়া সত্য। মীজান (তুলাদণ্ড) যাদ্বারা আমাল বা কর্মফল সমূহ নিরুপন করা হবে।
وَالْكِتَابُ حَقٌّ অর্থাৎ আমলনামা সত্য। বান্দার আনুগত্য ও অবাধ্যতা এদুটিই কর্মফল বা আমালনামা। মোমেনদের ডান হাতে তাদের আমল নামা দেওয়া হবে। কাফিরদের বামহাতে তাদের আমলনামা দেওয়া হবে।
وَالسُّوَالُ حَقٌّ আল্লাহর প্রশ্ন সত্য। হুজুর (সঃ) বলেন আল্লাহ তায়ালা মোমিনদের নিকটবর্তী হবেন।আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদা।
তাঁর প্রতি একটি নূরের পর্দা রাখবেন এবং তাঁকে আড়াল করবেন। এর পর বলবেন-তুমি এই গোনাহ জান? তখন সেই বান্দা বলবেন হাঁ হে আল্লাহ!
যখন সে স্বীকার করবে তার গোনাহকে এবং দেখবে সে নিজেকে যে সে ধ্বংস হয়ে গেল। তখন আল্লাহ তায়ালা বলবেন আমি তা দুনিয়ায় গোপন রেখেছিলাম আর আজ আমি তোমাকে ক্ষমা করলাম।আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদা।
তারপর তাকে ভাল আমল নামা দেওয়া হবে।আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদা।
কাফির ও মুনাফিকদের আওয়াজ দেওয়া হবে গোনাহ সম্পর্কে সৃষ্টির সেরা হিসাবে।
এই সকল মানুষেরা তাদের পালন কর্তাকে মিথ্যা বলবে। খবরদার আল্লাহর লানত অত্যাচারীদের প্রতি।
وَالْحَوْضُ حَقٌّ হাওজ সত্য। আল্লাহ তায়ালা বলেন إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ আমি তোমাকে (হুজুর সঃ কে) কাওছার দান করেছি।আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদ…
হুজুর (সঃ) বলেন আমার হাওজের প্রশস্থতা এক মাসের পথ তার কিনারা সমান। তার পানি দুধ হতে সাদা। তার সুগন্ধ মেষ্ক (কস্তুরী) অপেক্ষা উত্তম।
তার পান পাত্র আকাশের নক্ষত্র অপেক্ষা অধিক। যে কেউ এক বার তার পানি পান করবে সে কখনও পিপাসিত হবে না।আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদা।
وَالصِّرَاطُ حَقٌّ সিরাত সত্য। সিরাত একটি বিস্তীর্ণ পুল জাহান্নামের উপরে চুল অপেক্ষা সরু ও তরবারী অপেক্ষা ধারাল।আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদা।
জান্নাতবাসী তা অতিক্রম করবে এবং দোজখ বাসীদের পা পিছলে যাবে।
وَالْجَنَّةُ حَقٌّ وَالنَّارُ حَقٌّ
জান্নাত ও জাহান্নাম সম্পর্কে অনেক আয়াতে কারীমা ও বহু মুতাওয়াতির ও মশহুর হাদিস এসেছে। মৃ-ত্যু-র পর কিয়ামতের দিনে হিসাব নিকাসের পরে যাদের আমলনামা ডান হাতে আসবে তারা জান্নাতি।আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদা।
আর যাদের আমল নামা বাম হাতে আসবে তারা জাহান্নামী।
জান্নাত ও জাহান্নাম আল্লাহর সৃষ্টি। তা বর্তমান আছে। স্থায়ী ভাবে থাকবে। কখনো ধ্বংস হবে না।আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদ.।
তাদের বাসিন্দাগণ ও কখনো ধ্বংস হবে না। সেখানে স্থায়ী ভাবে থাকবে।
ঈমানদার লোকের জন্য জান্নাত সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে নানা রকম শান্তির উপকরণ বিদ্যমান।
জান্নাতীদের সেখানে কোন ভয় ও দুঃখ থাকবেনা। তাঁরা চিরকাল সেখানে পরম সুখ-শান্তিতে থাকবেন।
সেখানে তাঁরা আল্লাহ পাকের দিদার লাভ করবেন।
জান্নাতের সর্বাপেক্ষা বড় নেয়ামত আল্লাহ তায়ালার দিদার, আল্লাহ তায়ালার দিদার পেয়ে জান্নাত বাসী গণ অন্য সমস্ত নেয়ামত কে তুচ্ছ মনে করবেন।
وَالكَبِيرَةُ لَا تُخْرِجُ الْعَبْدَ الْمُؤْمِنَ مِنَ الإِيْمَانِ
ফলে মোমেন বান্দা ঈমান থেকে বেরিয়ে যায়না। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে
ওমর (রাঃ) বর্ণনা করেন গোনাহে কবীরা নয়টি।
আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদা
(১) আল্লাহর সঙ্গে শরীক করা।
(২) না হক ভাবে হত্যা করা। (৩) পবিত্র মহিলাকে মিথ্যা (ব্যাভিচারের) অপবাদ দেওয়া।
(৪) ব্যাভিচার করা।
(৫) যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাওয়া।
(৬) যাদু করা।
(৭) এতিমের মাল ভক্ষণ করা।
(৮) মুসলমান মাতা পিতার নাফরমানী করা।
(৯) হারাম কে হালাল মনে করা। হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) আরো বলেন
(১০) সুদ ভক্ষণ করা। হজরত আলী (রাঃ) আরো বলেন
(১১) চুরি করা।
(১২) শরাব (মদ) পান করা।
কেউ কেউ বলেছেন ছোট গোনাহ বার বার করা গোনাহ কাবীরার মধ্যে গণ্য। গোনাহ কাবীরার কারণে মোমেন বান্দা ঈমান থেকে বেরিয়ে যায়না।
বিশ্বাস স্থায়ী থাকার ব্যাপারে যা হল ঈমানের মূল বিষয় এবং কুফরের (অবিশ্বাসীর) মধ্যে পৌঁছায় না।আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদা।
إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ
আল্লাহর সঙ্গে শরীক করা আল্লাহ কখনো ক্ষমা করবেন না। এছাড়া অন্যান্য গোনাহ সমূহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন তওবার মাধ্যমে। যে কেউ
তওবা করবে অর্থাৎ গোনাহের কারণে অনুতপ্ত হয়ে, গোনাহ হতে ফিরে এসে ভবিষ্যতে সেই গোনাহ না করার দৃঢ় সংকল্প করে,আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদা।
আল্লাহ তায়ালা তার গোনাহ সমূহ ক্ষমা করবেন তা সগীরা গোনাহ্ হোক আর কাবীরা হোক।
সগীরাহ গোনার জন্য শাস্তি দেওয়া ও কাবীরাহ গোনাহ ক্ষমা করা জায়েজ।
গোনাহ গার দের (সগীরাহ অথবা কবীরাহ) জন্য রসুলুল্লাহ (সঃ) এর সুপারিশ থাকবে। মোমেন বান্দা গোনাহে কবীরার ফলে চিরকাল জাহান্নামে থাকবে না, যদি ও বিনা তওবায় মা-রা যায়।আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদা।
মানুষ সারা জীবনে যখনই তওবা করেন আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছা করলে সেটা কবুল করেন। কিন্তু ইন্তে-কালের পূর্ব মুহুর্তে মউ-তের ফেরেশ্তা দেখার পর তওবা করলে সে তওবা আর কবুল হয় না। وَالأَيْمَانُ অর্থাৎ ঈমান হল অন্তরে প্রকৃত বিশ্বাস করা,
মৌখিক স্বীকার করা ও (আল্লাহর আদেশ নিষেধ সমূহ) কাজে পরিণত করা।
ঈমান ও ইসলাম একই। ইসলাম আহকাম সমূহ গ্রহন করায় বিনম্র হওয়া।
হুজুর (সঃ) কে প্রশ্ন করা হল আমাকে ইসলাম সম্পর্কে শিক্ষা দিন তিনি বললেন ইসলাম এই যে তুমি সাক্ষ্য দেবে আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (সঃ) আল্লাহর রসুল।
নির্দ্ধারীত (পাঁচ ওয়াক্ত) নামাজ কায়েম করবে।
রমদ্বান মাসে রোজা রাখবে।
যাকাত আদায় করবে এবং হজ্বের সময়ে হজ্ব করবে যদি তোমরা সক্ষম হও।
প্রশ্ন কারী বললেন আপনি সত্য কথা বলেছেন। আমাকে ঈমান সম্পর্কে শিক্ষাদিন। হুজুর (সঃ) বললেন
ঈমান হল তুমি বিশ্বাস স্থাপন
স্থাপন করবে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেস্তার প্রতি, কিতাব সমূহের প্রতি, রসুল গণের প্রতি, কিয়ামতের দিনের প্রতি, ভাল ও মন্দ তাকদীরের প্রতি, তা আল্লাহর পক্ষ হতে আসে।
فَالأَعْمَالُ تَتَزَادُ فِي نَفْسِهَا وَالإِيْمَانُ لَا يَزِيدُ وَلَا يَنقُصُ
অর্থাৎ আমল বৃদ্ধি পায় কিন্তু ঈমান বাড়ে না ও কমে না। আমল ঈমানের মধ্যে দাখিল নয় কিন্তু আমল সহী হওয়ার জন্য ঈমান শর্ত।আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদা।
মূল ঈমান কখনো বাড়ে না ও কমে না। কেননা তা অন্তরের বিশ্বাসের বস্তু।
وَالسَّعِيدُ قَدْ يَشْقَى ভাগ্যবান কখনো কখনো না ফারমান হয়। অর্থাৎ ঈমান আনার পরেও মুরতাদ (ধর্মত্যাগী) হয়ে নাফারমান হয়ে যায়।
الشَّقِيُّ قَدْ يَسْعَدُ নাফারমান কখনো কখনো ভাগ্যবান হয়ে যায়।আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদ।
অর্থাৎ কাফেরী হালাতে থাকার পরে ঈমান আনার ফলে ভাগ্যবান হয়ে যায়।
وَالتَّغَيَّرُ يَكُونُ عَلَى السَّعَادَةِ وَالشَّقَاوَةِ ভাগ্যবান ও নাফারমানের মধ্যে হয়ে থাকে। اَلأَسْعَادُ অর্থাৎ কাউকে নেককার করা এবং اَلا شما অর্থাৎ কাউকে বদকার করা আল্লাহ পাকের ইচ্ছাধীন।
আল্লাহর সিফাতের মধ্যে গন্য কিন্তু আল্লাহর প্রতি ও তাঁর সিফাতের প্রতি কোন পরিবর্তন নেই।
وَفِي إِرْسَالِ الرُّسُلِ حِكْمَةٌ
পাঠানোর ব্যাপারে হিকমাত আছে। রসুল পাঠান তাঁর প্রতি ওয়াজিব নয়।
আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের কে সৎ পথ দেখানোর জন্য যুগে যুগে বহু পয়গম্বর (আঃ) পাঠিয়েছেন।আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদা।
তাঁদের পূর্ণ সংখ্যা তিনিই জানেন। সকল পয়গম্বর (আঃ) গোনাহ থেকে পবিত্র। তাঁদের দ্বারা আল্লাহ তায়ালা অসংখ্য মোজেজা (অলৌকিক ক্ষমতা) প্রকাশ করিয়েছেন।
وَقَدْ أَرْسَلَ اللَّهُ رَسُولًا مِّنَ الْبَشَرِ إِلَى الْبَشَرِ
আল্লাহ তায়ালা মানুষের মধ্যে থেকে রসুল করে পাঠিয়েছেন মানুষের কাছে। সংবাদ বাহক করে।
ঈমান ওয়ালাদের জন্য আনুগত্য স্বীকার কারীর বেহেস্তের ও প্রতি দানের সুসংবাদ এবং ভীতি প্রদানকারী করে পাঠিয়েছেন।
কাফির অস্বীকার কারীদের জন্য ও নাফারমানীদের জন্য জাহান্নামের কঠিন শাস্তির ভীতি প্রদানকারী এবং প্রকাশ্য বর্ণনা কারী করে পাঠিয়েছেন। মানুষের জন্য যা কিছু প্রয়োজন পর্থিব ও ধর্মীয় ব্যাপারে সব কিছুর প্রকাশ্য বর্ণনা কারী করে পাঠিয়েছেন।আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদ।
আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবীদিগকে মোজেজা (অলৌকিক ক্ষমতা) সহ পাঠিয়েছেন। মোজেজা এমনই একটি বিষয় যা অভ্যাসের বিপরীত প্রকাশ ঘটে।
أَوَّلُ الأَنْبِيَاءِ آدَمُ وَآخِرُهُمْ مُحَمَّدٌ
হজরত আদম (আঃ) ও শেষ নবী হজরত মুহাম্মাদ (সঃ)। নবীদিগের সংখ্যা কোন কোন হাদিস শরীফে এসেছে।
পয়গম্বরদের সংখ্যা সম্পর্কে হুজুর (সঃ) কে প্রশ্ন করা হলে-তিনি বলেন এক লক্ষ চব্বিশ হাজার। অপর একটি বর্ণনায় এসেছে দুই লক্ষ চব্বিশ হাজার নবীগণ প্রত্যেকেই আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে সংবাদ দাতা ও প্রচারক ছিলেন।
সকল রসুল ও নবীগণের মধ্যে মুহাম্মাদ (সঃ) সর্ব শ্রেষ্ঠ নবী ও রসুল।
وَالْمَلَئِكَةُ عِبَادُ اللَّهِ تَعَالَى
প্রতি আল্লাহ যে আদেশ করেন সঙ্গে সঙ্গে তারা তা পালন করেন ফেরেস্তাদের মধ্যে নারী-পুরুষ নেই।আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদা।
وَالْمِعْرَاجُ لِرَسُولِ اللَّهِ ﷺ حَقٌّ মেরাজ জাগ্রত অবস্থায় বিশেষ সঙ্গী সহ আসমান পর্যন্ত, তারপর আল্লাহ তায়ালা যা চেয়েছেন উর্দ্ধাকাশের ভ্রমন করিয়েছেন সকল সত্য।
وَكَرَامَاتُ الْأَوْلِيَاءِ حَقٌّ অর্থাৎ অলিদিগের কারামাত সত্য। অলি
হলেন যারা আল্লাহ তায়ালার ও তাঁর সিফাতের পরিচিতি পেয়েছেন।আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের আকিদা।
আল্লাহ তায়ালার আনুগত্যের প্রতি দৃঢ়তা ও গোনাহ হতে পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করেন এবং রেসালাতের কাজের মধ্যে তা পালন করার প্রতি ও।
তাঁদের কারামত প্রকাশ হওয়া স্বাভাবিক অবস্থার বহির্ভূত কাজ। পূর্ব হতে নবুয়তের দাবীর সঙ্গে যুক্ত নয়।
ঈমান, আমল ও সৎকাজের সঙ্গে যুক্ত নয়।
এটি একটি দরজা (মর্তবা) মাত্র। আর যা নুবুয়তের দাবীর সঙ্গে যুক্ত তা হল মো’জেজা।
ওলীদের কারামাত প্রকাশ হয় দূরের রাস্তা শীঘ্র অতিক্রম করা, খাদ্য পানীয় পোষাক প্রয়োজনের সময়ে প্রকাশ হওয়া,
পানির উপরে হাঁটা, হাওয়ায় ওড়া, জড় পদার্থের ও বাক শক্তিহীনের কথা বলা, তাদের দৃষ্টি নিক্ষেপে বালা মসিবত দূর হওয়া ইত্যাদি। কাফির, মোশরেক, বেদ্বীন যোগী মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
Hi there,
We run an Instagram growth service, which increases your number of followers both safely and practically.
– We guarantee to gain you 300-1000+ followers per month.
– People follow you because they are interested in you, increasing likes, comments and interaction.
– All actions are made manually by our team. We do not use any ‘bots’.
The price is just $60 (USD) per month, and we can start immediately.
If you have any questions, let me know, and we can discuss further.
Kind Regards,
Libby